তৃণমূলের দুই বিধায়কের শপথ নেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত সপ্তম সুরে। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বিধানসভার স্পিকার দুই নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকাকে শপথ পাঠ করানো 'অসাংবিধানিক' বলে দাবি করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে রাজ্যপাল বলেছেন, "বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজভবনের তরফে। কিন্তু স্পিকার সেই নির্দেশ অমান্য করে সংবিধানকেও অমান্য করেছেন।"
শুক্রবার দীর্ঘ টালবাহানা পেরিয়ে অবশেষে একমাস পর বিধায়ক হিসেবে শপথ নেন দুই জয়ী সায়ন্তিকা ও রেয়াত। প্রথমে ঠিক হয়েছিল রাজ্যপালের নির্দেশ অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকার শপথ নেওয়াবেন। পরে অবশ্য় ডেপুটি স্পিকার নন, খোদ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দুই জয়ী প্রার্থীকে শপথ গ্রহণ করান। এর ফলে অচলাবস্থা কাটল ঠিকই কিন্তু বিতর্ক পিছু ছাড়ল না।
বরানগর থেকে জয়ী সায়ন্তিকা এবং ভগবানগোলা কেন্দ্রে জয়ী রেয়াতের শপথগ্রহণ নিয়ে গত প্রায় একমাস ধরে টানাপড়েন চলছিল রাজভবন এবং বিধানসভার মধ্যে। গত ২০ জুন থেকে যা কার্যত স্পিকার বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়। সায়ন্তিকারা রাজভবনে যাবেন না বলে জানিয়ে দেন। তার বদলে বিধানসভাতেই শপথ গ্রহণ করবেন জানিয়ে ধর্নায় বসেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত। এই নিয়ে তাঁরা চিঠি দেন রাজভবনে। চিঠি দেন বিধানসভার স্পিকারও।
এরপর বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজ্যপালের অনড় মনোভাবকে দোষেন অচলাবস্থার জন্য। এরপর বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল জানান, দুই হবু তৃণমূল বিধায়ককে রাজভবনে আসতে হবে না। তাঁরা বিধানসভাতেই ডেপুটি স্পিকারের কাছে বিধায়কের শপথ নিতে পারেন। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেওয়ানোতে আগ্রহী নন। পরে অবশ্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান তিনি।