scorecardresearch
 

নজিরবিহীন, পুরভোট চলাকালীন বিধানসভা 'স্থগিত'-এর আদেশ রাজ্যপালের

নজিরবিহীনভাবে বিধানসভা স্থগিত করে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। নিজের পদাধিকারবলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement
ফের শিরোনামে ফের শিরোনামে
হাইলাইটস
  • বিধানসভা স্থগিত করলেন রাজ্যপাল

রাজ্যে পুরভোট চলছে একাধিক পুরসভায়। এ দিনই নজিরবিহীনভাবে বিধানসভা স্থগিত করে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। নিজের পদাধিকারবলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁকে সরানোর জন্য তৃণমূলের তরফে একাধিকবার দরবার করা হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। তারই পাল্টা দিলেন রাজ্যপাল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তিনি যে দিন বেছে নিয়েছেন তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

তাঁর ঘোষণার পরই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে। পুরভোটকে পিছনে ফেলে শিরোনামে উঠে আসে রাজ্যপালের এই আদেশনামা।  বাংলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়ে বিধানসভা ‘স্থগিত' বলে করলেন রাজ্যপাল। বিধানসভা না ভেঙে তিনি তা স্থগিত করে দিলেন। এদিন টুইট করে রাজ্যপাল এই সিদ্ধান্ত জানান। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘সংবিধানের ১৭৪ নম্বর ধারার উপধারা ২-এর অধীনে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্থগিত থাকছে অধিবেশন।’ এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত রাখার ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য়-রাজ্য়পাল সংঘাত নতুন পর্যায়ে পৌঁছল।

নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি আদেশনামা পোস্ট করে দেন।

 

তাঁর টুইটারের বাংলা অনুবাদ 

সংবিধানের ১৭৪ অনুচ্ছেদের ধারা (২) এর সাব-ক্লজ (a) দ্বারা আমাকে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগে, আমি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর, এতদ্বারা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা স্থগিত করছি ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।

Advertisement

উল্লেখ্য, দিল্লিতে বাজেট অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যপাল ইস্যুতে একাধিকবার সরব হয়েছে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির কাছে ‘বেসরকারিভাবে’ রাজ্যপালকে সরানোর আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা।

Advertisement