scorecardresearch
 

শীতলকুচি যাওয়ার পথে রাজ্যপালকে কালো পতাকা, গো ব্যাক

শীতলকুচিতেই উপদ্রুত এলাকায় যাওয়ার পথে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁকে লক্ষ্য করে উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। দেখানো হল কালো পতাকাও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ।

Advertisement
কোচবিহার বিমানবন্দরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় কোচবিহার বিমানবন্দরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়
হাইলাইটস
  • রাজ্যপালকে কালো পতাকা জোরপাটকিতে
  • উঠল গো ব্যাক স্লোগানও
  • বিতর্ককে সঙ্গী করেই সফর

যত কাণ্ড শীতলকুচিতে! 

ভোট চলাকালীন রক্তাক্ত হয়েছিল শীতলকুচি। আর সেই শীতলকুচিতেই উপদ্রুত এলাকায় যাওয়ার পথে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁকে লক্ষ্য করে উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। দেখানো হল কালো পতাকাও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। রাজ্যপাল নিজেও নেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।

বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু

বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রে থাকেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের কোচবিহার সফরও বিতর্করহিত থাকলো না। সিআরপিএফের গুলিতে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচিতেই প্রাণ গিয়েছিল চারজনের। তা নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা দেশ। নির্বাচনী ফলেও যার প্রভাব পড়ে। সেই ক্ষত এখনও টাটকা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শীতলকুচি যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

ঘটনার আগে

পূর্বসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপরই সড়কপথে মাথাভাঙা, শীতলকুচি, সিতাই ও দিনহাটার হিংসা কবলিত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। শীতলকুচি-সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।  কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ধনকড়কে কাছে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়ে নির্যাতিত পরিবারগুলি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই কলকাতা ফিরবেন জগদীপ ধনকড়। আগামিকাল তিনি যাবেন অসমে। 

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ
এদিন মাথাভাঙ্গা ও শীতলকুচিতে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের ছট খাটেরবাড়ি এলাকা পরিদর্শন করে শীতলকুচির দিকে রওনা দেন। শীতলকুচি যাবার পথে জোরপাটকি এলাকায় ফাঁকা রাস্তায় নাগরিক মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের তরফে রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো হয় এবং সঙ্গে গো ব্যাক স্লোগানও ওঠে। ওই সময় গাড়িতে রাজ্যপাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সাংসদ নিশীথ প্রামানিক, মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মন, বরেন চন্দ্র বর্মন, তুফানগঞ্জ এর বিধায়ক মালতী রাভা। যদিও ঘটনার পর রাজ্যপাল আর ঘটনাস্থলে কোনও মন্তব্য করেননি।

Advertisement

বিতর্ককে সঙ্গী করেই কোচবিহার রওনা হন রাজ্যপাল

এই জেলা সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। ধনকড় প্রথা ভেঙে এই সফর করছেন, এমনটা দাবি করে বুধবার তাঁকে একটি চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি ছিল, প্রথা অনুযায়ী, রাজ্যপাল যদি রাজ্যের কোনও জেলায় যান, সেক্ষেত্রে তা সরকারকে জানাতে হয়। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার প্রশাসনকেও তা জানানো আবশ্যক। কিন্তু রাজ্যপাল তা করেননি। এদিন ওই চিঠির পালটা জবাব দিয়ে গোটা রাজ্যকেই অশান্ত বলে দাবি করেছেন রাজ্যপাল। শান্তি ফেরাতে যেমন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, তেমনই তিনিও সব রকম সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন।

 

Advertisement