
মহেশতলায় উত্তেজনা।দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। বুধবার গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে এক পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে দাবি। ইটবৃষ্টিতে রক্তাক্ত হয়েছেন পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ।
বাইকে আগুন-ভাঙচুর
জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনগর থানার সামনে বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। উন্মত্ত জনতার রোষ সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। ঘটনার জেরে আতঙ্কে এলাকাবাসীরা। বিঘ্নিত হয়েছে যান চলাচল।

কয়েক দিন আগেই সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকা। ৩ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে এবার মহেশতলায় গোষ্ঠীসংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। যা ঘিরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।

মুর্শিদাবাদ হিংসা নিয়ে কী বলেছিলেন মমতা
মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় বিজেপিকেই দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, 'মুর্শিদাবাদ আর মালদার ঘটনা তো বিজেপি করেছে। দাঙ্গা লাগানোর ওস্তাদ তো বিজেপি। তার নথি-সহ প্রমাণ দিয়ে দেব। আমাদের সরকার নির্মম নয়, মানবিক সরকার। মোদীর সরকার জুমলা। এত বছর রাজত্ব করেছেন, কী দিয়েছেন।'
মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে কী বলেছেন মোদী
আলিপুরদুয়ারের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, 'পাঁচ সঙ্কটে জেরবার পশ্চিমবঙ্গ। এক, হিংসা-অরাজকতা, দুই মা-বোনেদের নিরাপত্তা নেই, তিন, বেকারত্ব, চার, দুর্নীতি, পাঁচ, গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া।' প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'বাংলায় মা-বোনেদের সুরক্ষা নেই, জঘন্য অপরাধ হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, এখানকার সরকারের নির্মমতারই উদাহরণ। এখানকার নির্মম সরকারের যত উদাহরণ দেব, কম পড়বে।'