বাবুলকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
বাবুল সুপ্রিয় বিজেপিতে থাকছেন, না ছেড়ে দিচ্ছেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছেই। কখনও নরম, কখনও গরমে বাবুলকে বাগে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। সেই সঙ্গেই বিরোধী এবং বিজেপি সব পক্ষ থেকেই বাবুলকে নিয়ে নানা রকম বক্তব্য পেশ করে জল্পনা তুঙ্গে তুলে দিচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
বাবুল নিয়ে মন্তব্য করে ফের বিতর্ক তৈরি করলেন সৌগত রায়
এবার বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে দাবি জানিয়ে হইচই ফেলে দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, বাবুলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে বাবুল হেরে গিয়েছে। তাই ওকে মন্ত্রিসভা থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। দল ওর প্রতি সুবিচার করেনি।
বাবুলের প্রতি সহানুভূতি সৌগতর
বাবুলের প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ সহানুভূতি প্রকাশ করে সৌগতবাবুর দাবি, ওতো রাজনীতির লোক নয়, আমরা যেমন হারা জেতার মধ্যে দিয়ে রাজনীতি ধরে রাখি, ওর সেই স্ট্যামিনা নেই। তাই ও রাজনীতি ছেড়ে দিতে চাইছে। আমি ওকে বলেছিলাম যাতে রাজনীতিটা না ছাড়ে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে না ওকে ধরে রাখা যাবে না। বিজেপির ভিতরের অবস্থা খুব খারাপ। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ওর ঝামেলা চলছে। ভালভাবে অনেকেই থাকতে পারছে না।
তৃণমূলের নজর বাবুলের গতিবিধিতে
বরানগর নেতাজি কলোনি লোল্যান্ডের খুঁটিপুজো অনুষ্ঠানে সেই মন্তব্য করে ফের নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন তিনি। সঙ্গতভাবে বাবুলকে তৃণমূল স্বাগত জানাবে কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমি কেউ নই। সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাবুলের দিকে যে তৃণমূল নজর ও যোগাযোগ দুই রাখছে, তা তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং হাবভাবেই পরিষ্কার।
বাবুল কোন পথে, ''দেবা না জানন্তি''
এদিকে দিলীপ ঘোষ, বাবুল দল ছাড়ছে না বলে প্রায় একই সঙ্গে মন্তব্য করেছেন। ফলে কার কথা সত্যি এবং কোন পথে যাবেন বাবুল, তা একমাত্র বাবুল ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারছেন না। বাবুল নিজেও অবশ্য দ্বিধাগ্রস্ত। বিজেপিতে থাকবেন, নাকি বিজেপি নেতাদের অনুরোধ মেনে সক্রিয় রাজনীতি চালিয়ে যাবেন। এখনও অবশ্য রাজনীতি ছাড়া বা সাংসদ পদ ছাড়ার মতো কোনও সিদ্ধান্ত তিনি সরকারিভাবে ঘোষণা করেননি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও।
প্রথমের সারিতেই থেকেছেন বাবুল
বাবুল সুপ্রিয় অবশ্য গত কয়েক বছরে সাংসদ হিসেবে এবং রাজ্য রাজনীতিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শিরোনামে ছিলেন। রাজ্য বিজেপিতে যে স্বল্প কয়েকজন সামনের সারিতে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে বাবুল ছিলেন অন্যতম। তিনি যদি শেষমেষ ছেডে় দেন, তাহলে রাজ্য বিজেপিতে একটা বড় ধাক্কা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।