West Bengal Heat Alert: বুধবার পর্যন্ত প্রবল গরম দক্ষিণবঙ্গে, তারপরেই বৃষ্টি? যা জানাল হাওয়া অফিস

তাপপ্রবাহে নাজেহাল পশ্চিমবঙ্গ। সকাল থেকে তীব্র রোদ ও চরম অস্বস্তিজনক আবহাওয়া যেন হাঁসফাঁস করে তুলেছে জনজীবনকে। হাঁটার অযোগ্য রাস্তাঘাট, ঘামঝরা পরিবেশ ও জলাভাব মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।

Advertisement
বুধবার পর্যন্ত প্রবল গরম দক্ষিণবঙ্গে, তারপরেই বৃষ্টি? যা জানাল হাওয়া অফিস
হাইলাইটস
  • তাপপ্রবাহে নাজেহাল পশ্চিমবঙ্গ। সকাল থেকে তীব্র রোদ ও চরম অস্বস্তিজনক আবহাওয়া যেন হাঁসফাঁস করে তুলেছে জনজীবনকে।
  • হাঁটার অযোগ্য রাস্তাঘাট, ঘামঝরা পরিবেশ ও জলাভাব মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।

বেজায় গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গ। সকাল ৯টা থেকেই চড়া রোদ। বৈশাখের উত্তাপে একপ্রকার দুর্বিষহ রাজ্যের জনজীবন। শহর হোক বা গ্রাম, রাস্তায় হাঁটা দায়। গরমে হাঁসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ। চরম অস্বস্তির মধ্যে দিন কাটছে রাজ্যবাসীর।

এই অবস্থায় কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কিছু জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে একইসঙ্গে, তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজ্যের তাপপ্রবাহ এখনও পুরোপুরি কাটছে না। বুধবার পর্যন্ত গরমের এই দাপট চলবে বলেই জানানো হয়েছে।  

কোন কোন জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে?
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর চব্বিশ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া — এই জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এর সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে বলেও সতর্কতা জারি হয়েছে।

এদিকে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও বুধবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও তাপপ্রবাহের দাপট কমবে। তবে তাপমাত্রা পুরোপুরি কমে যাবে এমন সম্ভাবনা আপাতত নেই।

উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি আলাদা
উত্তরবঙ্গের উপরের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, নিচের জেলাগুলিতে গরমের প্রকোপ জারি থাকবে বলে জানিয়েছে দফতর। তাই উত্তরবঙ্গের একাংশে পরিস্থিতি সাময়িক স্বস্তিদায়ক হলেও গোটা রাজ্যে গরম থেকে এখনও রেহাই মিলছে না।

বর্ষার আগমনই একমাত্র ভরসা
এর মধ্যেই আশার আলো দেখাচ্ছে মৌসুমী বায়ু। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবারের মধ্যে বর্ষা আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করতে পারে। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতি দ্রুত হচ্ছে এবং বর্ষা বাংলাতেও ঢুকে পড়বে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।

এই অবস্থায় সাধারণ মানুষকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বাইরে বেরোলে পর্যাপ্ত জলপান করতে হবে এবং হালকা সুতির পোশাক পরার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।

তবে সাময়িক ঝড়বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, রাজ্যের অনেক জেলায় এখনই তাপপ্রবাহ থেকে পুরো মুক্তি পাওয়া যাবে না। তাই আপাতত বর্ষার আগমনই বাংলার মানুষের একমাত্র আশা।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement