গভীর নিম্নচাপের শক্তি ক্রমশ কমছে। তবে এর প্রভাব এখনও কাটেনি। দশমী থেকেই দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর বলছে, শুক্রবার ভোরে (৩ অক্টোবর) ওড়িশার ফুলবনীর কাছে নিম্নচাপ অবস্থান করছিল। পূর্বাভাস, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি আরও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে তার আগে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
IMD Kolkata র স্পেশাল বুলেটিন: View PDF
কোন কোন জেলায় বেশি বৃষ্টি?
আজ, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বীরভূমে অতি ভারী বৃষ্টি (৭-২০ সেন্টিমিটার) হতে পারে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টির (৭-১১ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বজ্রঝড় ও ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রঝড়-সহ বৃষ্টি হতে পারে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। পরবর্তী তিন দিন অর্থাৎ ৫ থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। বজ্রঝড় ও ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ৮ ও ৯ অক্টোবর বৃষ্টি কিছুটা কমলেও দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলায় মাঝেমধ্যে বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থেকে যাবে।
স্পেশাল বুলেটিনে সতর্কবার্তা আবহাওয়া দফতরের
ভারী বৃষ্টিতে একাধিক জেলায় জল জমতে পারে। রাস্তা-ঘাটে যানজটের আশঙ্কা। কাঁচা রাস্তা ও দুর্বল বাড়ির দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মাঠের ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। দুর্গাপুজোর আগে তীব্র বৃষ্টিতে মণ্ডপগুলিও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
আবহাওয়া দফতরের পরামর্শ, বজ্রবিদ্যুত ও ঝড়ের সময় খোলা মাঠ, গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির নিচে আশ্রয় নেওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। জল জমে থাকা এলাকায় যাতায়াত এড়ানো উচিত। তীব্র বৃষ্টির সময় নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন। দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকেও যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের সুপারিশ করা হয়েছে।