দক্ষিণবঙ্গে টানা তিনদিন ধরে বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলিতে বৃষ্টি অব্যাহত। কিছু এলাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার দুপুরে জেলাশাসকদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে নবান্নে।
নিম্নচাপের প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। বিহারে অত্যন্ত গভীর নিম্নচাপের প্রভাব বাংলাতেও পড়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে এদিন দক্ষিণবঙ্গের চারটি জেলায়—উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী চার দিনে উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে এবং ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা এবং আশপাশের এলাকায় শুক্রবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে এবং শনিবার সকালে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে জল জমে গেছে। পাতিপুকুর আন্ডারপাসের অবস্থা বেহাল, যেখানে বুক সমান জল জমে রয়েছে। লেকটাউন ট্রাফিক এবং কলকাতা পুলিশ শনিবার সকালে একটি লেন থেকে উভয়মুখী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে, যার ফলে যান চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির কারণে ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে। সকাল থেকে ৪৮ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে তারা। দুর্গাপুর জলাধারও জল ছাড়তে শুরু করেছে, ফলে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের নিচু এলাকায় জলপ্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বীরভূমের কঙ্কালিতলার পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক, যেখানে নদীগুলির জল দ্রুত বাড়ছে।
এই সংকটজনক অবস্থার মধ্যে, মুখ্যসচিব আজ একটি ভার্চুয়াল বৈঠক ডেকেছেন। জেলাস্তরের পাশাপাশি মহকুমাস্তরেও কন্ট্রোল রুম চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে এবং ত্রাণ সামগ্রী ও অন্যান্য জরুরি ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।