মন্ত্রী কন্যার পর চাকরি গেল আরও এক শিক্ষকের। হাইকোর্টের নির্দেশে এবার চাকরি গেল মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের সুলুয়াডাঙা স্কুলের শিক্ষক সিদ্দিক গাজির। সোমবার ওই শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
জানা গিয়েছে, ওবিসি মেধাতালিকায় গণিত বিষয়ে ২০০ নম্বরে নাম ছিল অনুপ গুপ্ত নামে এক ব্যক্তির। কিন্তু তাঁর চাকরি হয়নি। পরিবর্তে চাকরি পেয়েছিলেন ২৭৫ নম্বরে নাম থাকা সিদ্দিক গাজি। সেই নিয়োগই এদিন বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার।
গতবছর ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই স্কুলে চাকির করছেন সিদ্দিক গাজি। তথ্য জানার অধিকার আইনে এই বিষয়ে আবেদন করেছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের বাসিন্দা অনুপ গুপ্ত। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে সিদ্দিককে।
প্রসঙ্গত, আগে এসএসি মামলার শুনানি চলত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। সেই সময় এসএসসি-র নিয়োগ স্বচ্ছতা নিয়ে বারেবারেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশেই চাকরি যায় রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। এমনকি তাঁর বেতন ফেরতের নির্দেশও দেওয়া হয়। এরপর সম্প্রতি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে যায় এসএসসি মামলা। এবার সেই বেঞ্চের শুনানিতেও উঠে এল এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি।
এই প্রসঙ্গে অনুপ গুপ্তের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, এসএসসি সব নিয়োগেই ত্রুটি আছে বলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগেই সিবিআই নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর ক্ষেত্রে যেমন মেধাতালিকায় কারচুপি ছিল। একই রকম কারচুপি নবম-দশম গণিত শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকাতেও রয়েছে। আইনজীবী আরও বলেন, তাঁর মক্কেলের দেওয়া তথ্যে ভুয়ো নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।
আরও পড়ুন - সস্তা হল সোনা-রুপো, আজ আরও কত কমল দাম?