প্রতীকী ছবি SIR আতঙ্কে আবারও আত্মহত্যার চেষ্টা রাজ্যে। এবার ঘটনাস্থল হুগলির ধনেখালি। শিশুকন্যাকে বিষ খাইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক গৃহবধূ। জানা গিয়েছে, ধনেখালি থানার অন্তর্গত সোমসপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কানা নদী এলাকায় বাপের বাড়িতে থাকতেন ২৭ বছরের ওই গৃহবধূ। সেখানেই ঘটে এই ঘটনা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মা ও মেয়েকে নিয়ে আসা হয়েছে SSKM হাসপাতালে। দু'জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ধনেখালিতে।
জানা গিয়েছে, ৮ বছর আগে হুগলির হরিপাল এলাকায় বিয়ে হয়েছিল এই গৃহবধূর। কিন্তু পারিবারিক বিবাদের জেরে গত ৬ মাস ধরে ধনেখালিতে বাপের থাকছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর বাপের বাড়িতে SIR ফর্ম দেওয়া হয়। বাবা ও মায়ের নামে ফর্ম এলেও তাঁর কোনও ফর্ম ছিল না। এদিকে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গেও তেমন যোগাযোগ নেই। ফলে সেখান থেকেও এই নিয়ে কোনও সহযোগিতা মিলবে না। তারপর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি, দাবি পরিবারের।
পরিবারের সদস্যদের কাছে এই নিয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করেছিলেন গৃহবধূ। উদ্বিগ্ন মনে হয়েছিল তাঁকে, জানাচ্ছেন বাবা-মা। কিন্তু মানসিক অবসাদ থেকে তিনি যে এত বড় পদক্ষেপ করবেন, তা ভাবতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, কীটনাশক খাইয়ে নিজের শিশুকন্যাকে মারতে চেষ্টা করেছিলেন। তারপর সেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
ইতিমধ্যেই ওই মহিলার বাড়িতে পৌঁছেন ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র। পৌঁছয় পুলিশও। অসীমা পাত্র অবশ্য এর জন্য BJP-কেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, 'BJP নেতারা যেভাবে বলছেন, ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেব, তাতে গোটা বাংলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কিছুদিন আগে জানকুনিতে হয়েছে। এবার এখানে হল। ওঁ এখানে ফর্ম ফিল আপ করতে পারেনি। তাই আতঙ্কে ছিল। ওঁর বাবা-ভাই বুঝিয়েছিল এখানে তৃণমূল আছে তোর চিন্তা নেই। কিন্তু ওঁর মনে উদ্বেগ ঢুকে গিয়েছিল।'
গৃহবধূর ভাই বলেন, 'ও ফর্ম পায়নি বলে চিন্তায় ছিল। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল না। ও হয়তো ভেবেছে আর ফর্ম পাবে না। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল।'