কারখানায় সিলিন্ডার ফেটে মৃত ২ শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটছে শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরে। মৃত দুই শ্রমিকের নাম গুয়েরাম দলুই ও পঙ্কজ দাস। আহত আরও ৪ শ্রমিক। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনায় মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ অন্যান্য শ্রমিকদের।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি রোড সংলগ্ন ওই কারখানায় লোহার ছাট মালের কাটিংয়ের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। সেই সময় হঠাৎ ফেটে যায় একটি সিলিন্ডার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের। আহত হন বেশ কয়েকজন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় আরও একজনের। মৃত গুয়েরাম দলুই শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরেরই বাসিন্দা। আর পঙ্কজ দাসের বাড়ি শ্রীরামপুরের বেলু এলাকায়।
ওই কারখানায় ছাঁট থেকে লোহা গলানো হয়। প্রতিদিনের মতো এদিনও কাজ চলার সময়ই প্রচণ্ড শব্দে ঘটে যায় বিস্ফোরণ। ফলে যে সমস্ত শ্রমিকরা ওই জায়গায় কাজ করছিলেন তাঁরা আহত হন। দুর্ঘটনার পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কারখানার বাকি শ্রমিকরা। মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভও দেখান হয়। এমনকী অফিস ঘরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।
এদিকে খবর পেয়ে এলাকায় যান স্থানীয় বিধায়ক তথা হুগলি শ্রীরামপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম গুঁইন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "লোহা কাটাইয়ের কাজ করার সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে এগুলো ডিফেন্সের ছাঁট লোহা। অল্প পারিশ্রমিকে শ্রমিকদের এই সমস্ত কাজ করানো হয়। বিষয়টা কতটা বৈধ সেটা দেখা দরকার। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে বা যাঁরা আহত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে"। অন্যদিকে এই ঘটনায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শ্রমিকরা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি সংবাদমাধ্যমকে জানান, "কারখানায় একটা দুর্ঘটনা হয়েছে। দুজন মারা গেছেন। কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হবে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে"।
আরও পড়ুন - দু'টি ছবিতে রয়েছে খুব সহজ ৫ পার্থক্য, রইল ১০ সেকেন্ডে খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ