
হাওড়ার পর উত্তপ্ত হল হুগলির রিষড়া (Hooghly Rishra)। রাম নবমীর মিছিল ঘিরে ফের অশান্তি। ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, আগুন! ফের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকাও। ঘটনার পর এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে রুট মার্চ। রিষড়ায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
রিষড়ায় রাম নবমীর মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, আচমকা এলাকায় অশান্তি বাধে। পুলিশ এবং নিরাপত্তার দায়িত্বা থাকা কেন্দ্রীয় জওয়ানরা দিলীপ ঘোষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমি মিছিলে ছিলাম। হঠাৎ গন্ডগোল শুরু হয়ে গেল। বোমের আওয়াজ আসছে। কে কোথা থেকে বোমা মারছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশের উপর আস্থা রাখছি।'
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ। তাঁর দাবি, এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল না। দিলীপের কথায়, ‘‘রিষড়ার ঘটনা ঘটল কী করে? পুলিশ কেন আগাম ব্যবস্থা নিল না। পুলিশের আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। বিমান ঘোষের কানের পাশে মাথায় লেগেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্টিচ পড়েছে। অনেকেরই লেগেছে।’’
রিষড়ার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চিঠিতে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘নিষ্ক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন সুকান্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে গোটা রিষড়া ও শ্রীরামপুর থানা এলাকার কিছু অঞ্চলে। নতুন করে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাই ইন্টারনেট পরিষেবা হুগলিতে সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-Weather Update: ভ্যাপসা গরমে ভোগান্তি, উত্তরে বৃষ্টির সম্ভাবনা