দিল্লি পুলিশের এক চিঠিতে বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশিদের ভাষা’ বলে উল্লেখ করায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, নয়াদিল্লির লোধি কলোনি থানার অফিসার অমিত দত্ত পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গভবনের ওসি-কে পাঠানো চিঠিতে এ মন্তব্য করেছেন। তৃণমূলের বক্তব্য, বাংলা ভাষা বিশ্বের ২৫ কোটিরও বেশি মানুষের মাতৃভাষা এবং ভারতের ২২টি সরকারি ভাষার একটি; তাকে ‘বাংলাদেশি’ বলা কেবলই অপমান নয়, বরং ভাষাটির ভারতীয় পরিচয় মুছে দেওয়ার চেষ্টা।
এই ইস্যুতে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও সরব হয়েছেন। ফেসবুকে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “বাংলাদেশী ভাষা’টা কী? সংবিধানের অষ্টম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত ভাষাগুলিও কি দিল্লি পুলিশ জানে না? ওই অফিসার কি নিরক্ষর, নাকি ওএমআর জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন?” সেলিমের অভিযোগ, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রবাদের নামে দেশের বৈচিত্র অস্বীকার করে অভিন্ন সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে চাইছে, যা আরএসএস-এর বহুত্ববিরোধী চিন্তাধারার প্রতিফলন।
অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বিষয়টিতে মন্তব্য করেছেন, “বাংলাদেশি ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলা আলাদা।বই পড়লেই বোঝা যায়।” তার মতে, কেবল বাংলা ভাষায় কথা বললেই সবাই ভারতীয় হয়ে যাবে, এমন ধারণা ভুল, কারণ অনেকেই ভুয়া নথি নিয়ে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রবেশ করছে।
ঘটনা নিয়ে তৃণমূল বা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন সেলিম, সরাসরি বিজেপি-আরএসএস-এর ভাবাদর্শকে আক্রমণ করেছেন।