প্রথম দফায় কত জন ভোটারকে SIR Hearing-এ ডাকছে কমিশন? জেনে নিন

পশ্চিমবঙ্গে SIR প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে নভেম্বর থেকেই। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ভোটারদের বৈধতা যাচাই করতে চাইছে। পাশাপাশি তারা মৃত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার কাজটাও করছে। আর ইতিমধ্যেই বাংলায় এনুমারেশন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার পালা হিয়ারিংয়ের। এই পর্বে সন্দেহজনক ভোটারকে ডাকবে নির্বাচন কমিশন। তাদের কাছে চাওয়া হবে নির্দিষ্ট নথি। তারপরই ভোটার তালিকায় নাম থাকবে।

Advertisement
প্রথম দফায় কত জন ভোটারকে SIR Hearing-এ ডাকছে কমিশন? জেনে নিনSIR হিয়ারিং
হাইলাইটস
  • পশ্চিমবঙ্গে SIR প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে নভেম্বর থেকেই
  • এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ভোটারদের বৈধতা যাচাই করতে চাইছে
  • মৃত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার কাজটাও করছে

পশ্চিমবঙ্গে SIR প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে নভেম্বর থেকেই। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ভোটারদের বৈধতা যাচাই করতে চাইছে। পাশাপাশি তারা মৃত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার কাজটাও করছে। আর ইতিমধ্যেই বাংলায় এনুমারেশন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার পালা হিয়ারিংয়ের। এই পর্বে সন্দেহজনক ভোটারকে ডাকবে নির্বাচন কমিশন। তাদের কাছে চাওয়া হবে নির্দিষ্ট নথি। তারপরই ভোটার তালিকায় নাম থাকবে।

কত জনকে ডাকছে কমিশন?

কমিশনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে হিয়ারিংয়ের প্রথমপর্বে ৩১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪২৪ জনকে ডাকা হবে। আর এদের কেন ডাকা হবে, সেটাও স্পষ্ট করে জানিয়েছে কমিশন।

কেন ডাকা হবে?

কমিশনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ৩১ লক্ষ ৬৮ ৪২৪ জনের কোনও ম্যাপিং পাওয়া যায়নি।

এখন প্রশ্ন হল, ম্যাপিং বিষয়টা আসলে কী? কমিশনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টকে প্রামাণ্য করেই এগনো হয়েছে SIR-এ। সেই লিস্টে যদি নাম থাকে, তাহলে কোনও সমস্যাই নেই। সেই সব ভোটারের নাম এমনিই ভোটার লিস্টে উঠে যাবে। এছাড়া কারও বাবা-মায়ের নাম থাকলেও কোনও চিন্তা নেই। যদি পরিবারের কারও নাম না থাকে ২০০২ ভোটার লিস্টে, তাহলেই সমস্যা। এমন ভোটারদের নন ম্যাপিং ভোটার বলা হচ্ছে। আর তাদেরকেই ডাকা হচ্ছে এবারের হিয়ারিংয়ে বলে জানিয়েছে কমিশন।

এরপরের দফাতেও হিয়ারিং হবে

তবে শুধু ম্যাপিং নয়, এছাড়াও কোনও ক্ষেত্রে সন্দেহ জাগলেই ডাকতে পারে কমিশন। এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের বয়সের তফাত ১৫ বছর বা তার বেশি হওয়া থেকে শুরু করে যে কোনও রকম অসঙ্গতি চোখে পড়লেই ডাকতে পারে কমিশন বলে জানা গিয়েছে।

কী কী নথি লাগবে?

হিয়ারিংয়ে যাওয়ার আগে কয়েকটি নথি জোগার করে নিতে হবে। এগুলি দেখাতে পারলেই আর নেই সমস্যা। আর সেই নথিগুলি হল-

  • ১৯৮৭ সালের আগের ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস বা LIC-এর নথি
  • সরকারি চাকরির কোনও আইডি কার্ড
  • বার্থ সার্টিফিকেট
  • পাসপোর্ট
  • মাধ্যমিক বা তার বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট
  • SC, ST, OBC সার্টিফিকেট
  • স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া বাসস্থানের সার্টিফিকেট
  • NRC-এর সার্টিফিকেট
  • পারিবারিক রেজিস্টার
  • জমি, বাড়ির দলিল
  • আধার কার্ড

তাই এই নথিগুলি এখনই জোগার করে নিন। তাহলেই আপনার নাম অবশ্যই ফাইনাল ভোটার লিস্টে থাকবে। এমনটাই জানান হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement