সাসপেন্ড হুমায়ুন কবির।-ফাইল ছবিশৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) জনসভা রয়েছে এদিন। ওই সভায় আমন্ত্রিত হুমায়ুনও। কিন্তু তারই মধ্যে ফিরহাদ হাকিম জানান যে হুমায়ুনকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ফিরহাদ এদিন বলেন, 'বেলডাঙ্গায় বাবরি মসজিদ করার কথা বলছেন। বেলডাঙ্গা কিছুদিন আগেও সাম্প্রদায়িক স্পর্শকাতর হয়েছিল। সেখানে দাঙ্গা লাগানো সহজ হবে। দাঙ্গা লাগলে বিজেপিকে সাহায্য করা হবে। বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য এই কাজটা করার চেষ্টা করছে। আমরা এই সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করি না। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ৩ বার ওনাকে সতর্ক করেছে। উনি আবার এটা করছেন। আমরা পার্টির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামত নিয়ে হুমায়ুন কবিরকে সাসপেন্ড করছি। দলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক থাকবে না।'
বিষয়টিতে হুমায়ুন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমি জেলা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে দু'ঘণ্টা পরে বলছি। আপনাদের মুখে শুনলাম আমায় সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর আগেও ৬ বছরের জন্য আমায় সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কালকেই রিজাইন দিয়ে দেব।'
গতকালই হুমায়ুন কবির বলেছিলেন, 'রাজ্যপালের আশঙ্কা সম্পূর্ণ অমূলক। তিনি নির্বাচিত নন, তাই নিজের সাংবিধানিক সীমার মধ্যে থাকাই উচিত। রাজ্যে নির্বাচিত সরকার আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তাদের, রাজ্যপালের নয়। তিনি আরএসএস-এর হয়ে কাজ করছেন।'
বাবরির শিলান্যাসে দু'হাজার স্বেচ্ছাসেবক বাবরি মসজিদ নির্মাণের বৈধতা নিয়ে হুমায়ুনের বক্তব্য ছিল, 'সুপ্রিম কোর্ট বিচার করবে। সংবিধানে কোথায় লেখা আছে যে কোনও নাগরিক মসজিদ তৈরি করতে পারবে না, সেটা আমাকে দেখাক। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যাতে কোনও ধর্মের মানুষের অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে আমার ২,০০০ স্বেচ্ছাসেবক তৈরি থাকবে। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে চমক থাকবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।'