লকডাউনে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে বিলাসবহুল হোটেলে জুয়ার আসর, গ্রেপ্তার শহরের নামী ব্যবসায়ীরা, উদ্ধার বিপুল নগদ। অন্যদিকে শিলিগুড়িতে ডাকাতির আগে গ্রেফতার ৬ দুষ্কৃতী।
হাইপ্রোফাইল জুয়ার আসরে হানা
লকডাউনের নিয়মকে লংঘন করে ও করোনার স্বাস্থ্য বিধি না মেনে হোটেলে রমরমিয়ে চলছিল জুয়ার আসর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার ৪ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সেই সাথে উদ্ধার হয় নগদ টাকা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে।
পুলিশ সূত্রের খবর
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি বিলাসবহুল হোটেলে লকডাউন উপেক্ষা করে বসেছিল জুয়ার আসর। মাঝরাতে খবর পেয়ে অভিযান চালায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ভক্তিনগর থানার পুলিশ। আসর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে। সেবক রোডের বাসিন্দা বিরজু আগরওয়াল ও দীপক আগরওয়াল, জ্যোতিনগরের বাসিন্দা প্রমোদ কুমার আগরওয়াল ও পাঞ্জাবিপাড়ার বাসিন্দা কেশব আগরওয়াল। প্রত্যেকেই শহরের নামী ব্যবসায়ী। জুয়ার আসর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪ লক্ষ ২৬ টাকা ও জুয়া খেলার সামগ্রী। ধৃতদের শনিবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি শুভেন্দ্র কুমার বলেন, "স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে হোটেলে জুয়ার আসর চলছিল। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।"
ডাকাতির আগে গ্রেফতার
ডাকাতি করার আগেই শিলিগুড়ি থানার পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হল 6 জন। শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ি জলপাইমোড় এলাকার কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র সহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দ্বিতীয় দিন শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ধৃতরা বড় ধরনের ডাকাতির ছক কষেছিল এলাকায়।
গোপন ছক ফাঁস
করোনা মোকাবেলায় রাজ্যের তরফে রাজ্য জুড়ে কড়াকড়ি নিয়ম লাঘু করা হয়েছে। রাত ৯ থেকে সকাল পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে নৈশ কার্ফু জারি করেছে সরকার। ফলে রাত বাড়লেই প্রায় শুনশান হয়ে পড়ছে শহর। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শহরে ডাকাতির ছক কষেছিল বেশ কিছু দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে 6 দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা হল রবি বর্মন, রাজেশ চৌধুরী, এম ডি কালাম, এম ডি জাকির,এম ডি বাপ্পা এবং প্রদীপ দাস ওরফে পল্টু।
পুলিশ সূত্রের খবর
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের মধ্যে রবি বর্মন কোচবিহারের বাসিন্দা এবং বাকিরা শিলিগুড়ির। ধৃতদের হেফাজত থেকে বেশকিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে তারা শিলিগুড়ির মিলন পল্লী এলাকাতে বড় ধরনের ডাকাতির ছক কষেছিল। ধৃতদের শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে পুলিশ ধৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জানার চেষ্টা করবে এই চক্রের বড় কোন মাথা রয়েছে কিনা।