scorecardresearch
 

TMC-Congress Seat Sharing: কংগ্রেসকে মেরেকেটে ৩-৪ টি আসন ছাড়তে পারে তৃণমূল, তবে রয়েছে শর্ত

লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের আসন সমঝোতা শেষ পর্যন্ত হবে কি? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অলিন্দে। বাংলায় কংগ্রেসের জন্য ২টি আসন ছাড়াতে চায় তৃণমূল। গত বার ভোটে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর এবং মালদা দক্ষিণ, এই দুই কেন্দ্রে জিতেছিল কংগ্রেস। এই ২টি আসনই কংগ্রেসের 'হাতে' ছাড়তে রাজি হয়েছে বাংলার শাসকদল। তবে জোড়াফুলের এই প্রস্তাবে রাজি হননি রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। যা নিয়েই তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে জট তৈরি হয়েছে।

Advertisement
হাইলাইটস
  • বাংলায় কংগ্রেসের জন্য ২টি আসন ছাড়াতে চায় তৃণমূল।
  • গত বার ভোটে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর এবং মালদা দক্ষিণ, এই দুই কেন্দ্রে জিতেছিল কংগ্রেস।
  • আসন রফা নিয়ে জটিলতা কাটাতে উঠেপড়ে লেগেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের আসন সমঝোতা শেষ পর্যন্ত হবে কি? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অলিন্দে। বাংলায় কংগ্রেসের জন্য ২টি আসন ছাড়াতে চায় তৃণমূল। গত বার ভোটে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর এবং মালদা দক্ষিণ, এই দুই কেন্দ্রে জিতেছিল কংগ্রেস। এই ২টি আসনই কংগ্রেসের 'হাতে' ছাড়তে রাজি হয়েছে বাংলার শাসকদল। তবে মাত্র ২টি আসন ছাড়া নিয়ে জোড়াফুলের এই প্রস্তাবে রাজি হননি রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। যা নিয়েই তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে জট তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি সরাসরি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেন, তা হলে কংগ্রেসকে আরও ১-২টি আসন ছাড়তে পারে বাংলার শাসকদল। 

আসন রফা নিয়ে জটিলতা কাটাতে উঠেপড়ে লেগেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই নিয়ে জট কাটানোর জন্য ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনার জন্য কমিটিও গঠন করেছে কংগ্রেস। তবে কংগ্রেসের বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসকে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।

২০২৪ সালের নির্বাচনে মোদী বাহিনীকে হঠাতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিরোধী নেতারা। তৈরি হয়েছে বিজেপি বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'। গত বছরের শেষ দিকে দিল্লিতে শেষ বৈঠক হয়েছে জোটের। আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে বিরোধীদলগুলির মধ্যে। এই আবহে বাংলায় আসন রফা হবে কি না, সে নিয়ে প্রথম থেকেই চর্চা চলছে। এর মধ্যেই সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনায় কর্মিসভায় বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'সারা দেশে থাকবে ইন্ডিয়া। বাংলায় তৃণমূল লড়াই করবে। তৃণমূলই বিজেপিকে শিক্ষা দিতে পারে। সারা দেশকে পথ দেখাতে পারে। অন্য কোনও দল নয়।' মমতার এ হেন মন্তব্য ঘিরেই রাজনীতির ময়দানে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, লোকসভার লড়াইয়ে বাংলায় একাই লড়তে চায় তৃণমূল। আসন সমঝোতার প্রশ্নে মমতা আগেই জানিয়েছেন, রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, তারাই জোটে মুখ্য ভূমিকা পালন করুক। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সেই বার্তাই ফের দিতে চেয়েছেন মমতা। অর্থাৎ জোট হলেও তার নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকবে বাংলার শাসকদল। 

আরও পড়ুন

Advertisement

মমতার এই মন্তব্যের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, 'মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে বার বার হারিয়েছি, মালদহে হারিয়েছি। আমরা বলছি না, সারা বাংলা দখল করব। যেখানে কংগ্রেস আছে সেখানে লড়বে, জিতবে। আমরা লড়েছি, লড়ছি, লড়ব।' এর পরই মমতাকে নিশানা করে অধীর বলেছেন, 'দিদি সব জায়গায় ঠিক করছে মোদীর বিরুদ্ধে কে দাঁড়াবেন। এই নাটক দেখতে আমরা অভ্যস্ত। মাথা মুণ্ড নেই। বাংলায় কংগ্রেস তার মতো করে লড়ছে। দিদিই জোটের সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিয়েছেন। দিদি নিজেই জোট চান না। কারণ অসুবিধা আছে। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। বাংলায় কংগ্রেস নিজের লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি। কে এল, গেল, যায় আসে না।' মমতাকে নিশানা করে অধীর আরও বলেছেন, 'আমরা কারও কাছে ভিক্ষে চাই না। আমরা মমতার দয়া চাই না। আমরা একাই ভোটে লড়তে পারি।' আসন সমঝোতার প্রশ্নে সম্প্রতি মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী জানিয়েছিলেন যে, মালদা দক্ষিণ এবং বহরমপুর আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছেন মমতা। তার পরেই একলা লড়াই নিয়ে ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেন মমতা। 

অতীতে ২০০১ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল তৃণমূল। পরে ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচন এবং ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হাত ধরেছিল বাংলার বর্তমান শাসকদল। এখন দেখার, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে আবার দু'দলের জোট হয় কি না।
 

Advertisement