ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কুরুচিকর কথা বলার জের। এক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁকে নদিয়ার আরাংঘাটা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। তিনি আরাংঘাটার বাসিন্দা। তাঁকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার বিকেলে তোলা হয় কোর্টে। আদালত তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কেন করা হয় অভিযোগ?
বিশ্বজিৎ বিশ্বাস নামক এই ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট প্রভাবশালী। তিনি সেখানে 'ফিট বিশ্বজিৎ' নামে পরিচিত। তাঁর ৩.৩ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছে। তিনি মাঝেমধ্যেই নিজের মতামত জানান সেখানে।
আর এই কাজ করতেই গিয়েই বিশ্বজিৎ বিরাট অপরাধ করে ফেলেন বলে অভিযোগ। এই ব্যক্তি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক বার ভারতীয় সেনাকে নিয়ে অপমানজনক কথা বলেন। তিনি ফেসবুক লাইভে এসে সেনাবাহিনীর নামে যা নয় তাই বলে যেতেন। এমনকী সেনায় কর্মরত কিছু মানুষ সম্পর্কেও তিনি কুরুচিকর মন্তব্য করে এসেছেন। আর তাঁর এই কাণ্ডগুলি দেখেই ক্ষেপে যান অনেকে। পাড়াপ্রতিবেশী থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব, সেনায় কর্মরতদের পরিবারের অনেকেই অভিযোগ জানান তাঁর বিরুদ্ধে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে তোলা হয় কোর্টেও।
পুলিশ সূত্রে খবর, অ্যারেস্ট করার পর ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জানতে চাওয়া হয়, কেন তাঁর ইন্ডিয়ান আর্মড ফোর্সের বিরুদ্ধে এত রাগ? কেনই বা তিনি এই ধরনের মন্তব্য করে থাকেন? যদিও এর উত্তরে বিশ্বজিৎ কী বলেছেন, সেটা জানা যায়নি। জেলার এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, 'ওর এই ধরনের আচরণে অনেকেই ক্ষুদ্ধ।'
অপারেশন সিঁদুরের সময়ও নেওয়া হয় ব্যবস্থা
পেহলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলার পর পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। আর সেই সময় পশ্চিবঙ্গের কিছু মানুষ অপারেশন সিঁদুর ও ভারতীয় সেনা সম্পর্কে নোংরা কথা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই নিয়েও অভিযোগ জমা পড়ে পুলিশের কাছে। তারপর নেওয়া হয় যথাযথ ব্যবস্থা।
যদিও সেই ঘটনার পরও অনেকের শিক্ষা হয়নি। আর সেটারই উদাহরণ বিশ্বজিতের ঘটনা। কী করে যে তিনি ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করলেন, সেটাই বুঝতে পারছেন না অনেকে।
পুলিশের একাংশের বক্তব্য, এই সব ঘটনা থেকে সকলের শিক্ষা নেওয়া উচিত। সেনা বা পুলিশ সম্পর্কে কিছু নোংরা কথা বলার আগে হাজারবার ভাবতে হবে। নইলে তাঁদের বিরুদ্ধেও নেওয়া যেতে পারে অ্যাকশন।