পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে ধুন্ধুমারে বুধবারও উত্তপ্ত ভাঙড়। মঙ্গলবারের পর বুধবার ১৪৪ ধারা ভেঙে নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে এলাকা। মনোনয়নের পঞ্চম দিনেও বাঁশ লাঠি নিয়ে বাসন্তীতে বিডিয়ো অফিসের সামনে দাপাদাপি চলে দুর্ষ্কতীদের। মুড়ি-মুড়কির মতো চলে বোমা গুলি। আর এই আবহেই বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে হাজির হলেন নওশাদ সিদ্দিকী। তবে নবান্নে গিয়েও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দেখা পাননি নওশাদ।
বুধবার দুপুরেই নবান্নে প্রবেশ করতে দেখা যায় আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে। বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানাতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান নওশাদ। প্রায় ২০ মিনিট নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করেন নওশাদ। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ব্যস্ত থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি নওশাদ।
কেন ভাঙড়ে আইএসএফ প্রার্থীদের পঞ্চায়েতের মনোনয়নে বাধা দেওয়া হচ্ছে? পুলিশ কেন নির্বিকার? তা জানতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন কথা বলতে চান নৌশাদ সিদ্দিকী। তবে, আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট না থাকায় নৌশাদকে নবান্নের গেটেই দাঁড় করিয়ে রাখে পুলিশ।
মনোনয়নের ফর্ম তোলাকে কেন্দ্র করে সোমবার থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলে। ভোর হতেই শুরু হয় বোমাবাজি। বুধবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও রীতিমতো শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন দিতে যান তৃণমূল প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত মনোনয়ন ঘিরে ভাঙড়জুড়ে শুধুই ভয়ের ছবি ধরা পড়ছে গত কয়েকদিন ধরে। এই সংঘর্ষে একাধিক আইএসএফ কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। রক্ত ঝরে পুলিশেরও। ভাঙড়ে এই অশান্তির দায় নওশাদ সিদ্দিকী উপর চাপিয়েছেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। পরিকল্পনা করে ভাঙড়ে অশান্তি করা হয়েছে বলে দাবি আরাবুলের। ভাঙড়ে শান্তি ফেরাতে তাই অবিলম্বে নৌশাদকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন তিনি।