scorecardresearch
 

Nawsad Siddique: থানায় ঢুকে পুলিশ কর্মীদের 'দালাল' বললেন নওশাদ, মহিলা কর্মীর সঙ্গে তুমুল বচসা

কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিককে 'দালাল' বলে আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে থানায় ঢুকে এসডিপিওর সঙ্গে বৃহস্পতিবার বচসায় জড়ান আইএসএফ বিধায়ক। সেই সময়ই পুলিশকে দালাল বলে কটাক্ষ করতে শোনা যায় নওশাদকে। 

Advertisement
পুলিশের সঙ্গে বচসা নওশাদের। পুলিশের সঙ্গে বচসা নওশাদের।
হাইলাইটস
  • পুলিশের সঙ্গে বচসা নওশাদের।
  • পুলিশকে দালাল বলে আক্রমণ।
  • তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তেজনা।

কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিককে 'দালাল' বলে আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে থানায় ঢুকে এসডিপিওর সঙ্গে বৃহস্পতিবার বচসায় জড়ান আইএসএফ বিধায়ক। সেই সময়ই পুলিশকে দালাল বলে কটাক্ষ করতে শোনা যায় নওশাদকে। মহিলা পুলিশকর্মীদের সঙ্গেও বচসায় জড়ান বিধায়ক।

ঠিক কী ঘটেছে? 

নওশাদের সভার আগে শাসনে তৃণমূলের সঙ্গে আইসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। আইএসএফের পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধে। অভিযোগ পেয়ে থানায় যান বিধায়ক। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান নওশাদ। 

আরও পড়ুন

পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশে নওশাদকে বলতে শোনা যায়, 'আপনি পুলিশ, পুলিশের মতোই কাজ করুন। তৃণমূলের হয়ে কাজ করবেন না। আপনি দালাল।' এরপরই এসডিপিও বলেন, 'দিস ইজ নট ডান। একজন সরকারি আধিকারিককে দালাল বলতে পারেন না।'

আগামী ১ জুন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। এবার নির্বাচনে অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র বসিরহাট। এই লোকসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত সন্দেশখালি। এখনও তপ্ত রাজ্যের এই এলাকা। বৃহস্পতিবার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের কয়েকটি এলাকায় সভা ছিল নওশাদের। সেই সভাকে কেন্দ্র করে ঝান্ডা লাগানোর কাজ করছিলেন আইএসএফ কর্মীরা। পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের সঙ্গে গোলমালের সূত্রপাত। এক আইএসএফ কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। 

এরপর ঘটনাস্থলে নওশাদ গেলে বচসা বাধে। তারপরে অভিযোগ জানাতে থানায় যান নওশাদ। সেখানে এসডিপিও-সহ পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান আইএসএফ বিধায়ক। 

অন্য দিকে, এবার লোকসভা ভোটে নওশাদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কয়েক মাস আগে নওশাদ দাবি করেছিলেন, ডায়মন্ডহারবারে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন। তবে পরে নওশাদ বলেন,'প্রথম দিনে আমার যে আত্মবিশ্বাস ছিল, আজও সেই আত্মবিশ্বাসই আছে। আমি একশো শতাংশ দিয়ে ডায়মন্ডহারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত আছি। শুধুমাত্র দলের অনুমোদনের অপেক্ষা। দল অনুমোদন দিলেই ওখানে আমি লড়াই করব। বর্তমান যিনি বিদায়ী সাংসদ আছেন, তাঁকে হারাব। ওখানে হারের কোনও প্রশ্নই নেই। আমি লড়াই করলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন'। তবে শেষ পর্যন্ত নওশাদ ভোটে লড়েননি।

Advertisement

Advertisement