উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত পর্বে খানিকটা যেন চিড়ে ভিজল। রাজ্যের প্রস্তাবিত নামেই এবার সিলমোহর দিল রাজভবন। অবশেষে উপাচার্য পেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অন্তর্বর্তী উপাচার্য করা হল ভাস্কর গুপ্তকে। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে এই খবর জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক ভাস্করকে মনোনীত করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। রাজ্যের প্রস্তাবিত নামের তালিকা মেনে ভাস্করকে উপাচার্য করায় রাজ্যপাল বোসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত ক্রমেই বেড়েছে। রাজভবনের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বাগযুদ্ধেও সরব হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যের প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকেই ভাস্করকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল, যা এই পর্বে ভিন্ন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করা হচ্ছে। দু'পক্ষের বিরোধ খানিকটা প্রশমিত হল বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের।
গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে 'একতরফা ভাবে' অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছিল রাজভবন। তারপরে ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের আগের রাতে বুদ্ধদেবকে অপসারণ করেন রাজ্যপাল। তারপর থেকে উপাচার্যের আসনটি ফাঁকা ছিল। অবশেষে উপাচার্য পেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
ভাস্করের নিয়োগ নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে ব্রাত্য লিখেছেন, 'যাদবপুরের উপাচার্য হিসাবে অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তের নাম মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে উচ্চশিক্ষা দফতরই সুপারিশ করেছিল। আশা করব, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও রাজ্যের সুপারিশ মেনে উপাচার্য নিয়োগ করবেন আচার্য। শুভবুদ্ধির উদয়ের জন্য আচার্যকে অভিনন্দন জানাই।'
গত বছর যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। যা ঘিরে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। দেশের অন্যতম প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর।