Jiban Krishna Saha: 'MLA হয়ে প্রচুর সম্পত্তি করেছে, জেল দরকার,' ছেলেকে নিয়ে বিরক্ত জীবনকৃষ্ণর বাবা

জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁর বাবা বিশ্বনাথ সাহা। ছেলে-বাবার মুখ দেখাদেখি কার্যত বন্ধ। বাবার দাবি, ছেলে বিধায়ক হওয়ার পর বেনামে অনেক সম্পত্তি করেছে। তাঁর বহু 'কীর্তি' ফাঁস করলেন তিনি।

Advertisement
 'MLA হয়ে প্রচুর সম্পত্তি করেছে, জেল দরকার,' ছেলেকে নিয়ে বিরক্ত জীবনকৃষ্ণর বাবাজীবনকৃষ্ণ সাহা (বাঁ দিকে), বাবা বিশ্বনাথ সাহা (ডান দিকে)
হাইলাইটস
  • ছেলের জেল চাইছেন জীবনকৃষ্ণর বাবা
  • জীবনকৃষ্ণর 'কীর্তি' ফাঁস করলেন তিনি
  • জেলের জেল হোক চাইছেন বাবা

বাবার সঙ্গে মুখ দেখাদেখিই প্রায় বন্ধ তৃণমূলের ধৃত বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার। ED হানা দিতেই বাড়ির দোতলা থেকে পানাপুকুরে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। হাতেনাতে ধরা পড়েন। এরপর টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ছেলের এহেন কীর্তি নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বাব। তাঁর মতে, বিধায়ক হয়েই ছেলে বেনামে একাধিক সম্পত্তি কিনেছিল। 

জীবনকৃষ্ণর বাবা বিশ্বনাথ সাহার বিস্ফোরক মন্তব্য, 'রেড হওয়ার দরকার ছিল। প্রচুর সম্পত্তি করেছে। MLA হয়েই তো এসব করেছে। যা উপদ্রব, আমি তো থাকতেই পারব না যদি ওর কিছু না হয়।'

দীর্ঘদিন হয়েছে, ছেলের সঙ্গে আর থাকেন না বিশ্বনাথ সাহা। কর্মসূত্রে সাঁইথিয়ায় থাকেন তিনি। আগে বাড়ি গেলেও এখন জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে কার্যত মুখ দেখাদেখিই নেই তাঁর। ছেলে জীবনকৃষ্ণের দ্রুত উত্থান চোখে ভাল ঠেকেনি বাবার। এমনকী নিজের বোন মায়া সাহার সম্পর্কেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে তাঁর। 

বিশ্বনাথ সাহা বলেন, ' জীবন বিধায়ক হওয়ার পর এত এত সম্পত্তি করেছে। মায়াকেও কাউন্সিলর করেছে। ওর বাড়ি ED তল্লাশি প্রয়োজন রয়েছে। প্রচুর সম্পত্তি করেছে ওরা। কিছুই ছিল না, একটা মিষ্টির দোকান ছিল। জীবন বিধায়ক হয়েই তো সব হল। আমার সঙ্গে ওদের বরাবরের দূরত্ব। ওদের বাড়ি এখন আর আমি যাই না। জীবন জামিন পেয়ে আসার পর থেকে আমায় ঢুকতে দেয় না। থানা থেকে জেলা সভাপতি সবাইকে জানিয়েছি। অনুব্রত মণ্ডলকেও জানিয়েছিলাম। কিন্তু সবাই ওর বুলিই গাইছে।' এরপরই বিস্ফোরক দাবি করে জীবনকৃষ্ণর বাবা বলেন, 'আমার যা পুত্র, ওর জেল দরকার। জীবন যদি ওখানে থাকে আমি তো আর কোনও দিনই যেতে পারব না।'

প্রসঙ্গত, জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে SSC নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মিডলম্যান হিসেবে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। সোমবার তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি সহ মোট ৫ জায়গায় হানা দেয় ED। তালিকায় ছিল তৃণমূল বিধায়কের পিসি মায়া সাহার বাড়িও। বীরভূমের সাঁইথিয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তিনি। তল্লাশির সময় তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে ঢুকতে যান সাঁইথিয়া থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর দীনেশ মুখোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁকে প্রথমে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।  এরপর পুলিশ কর্মীর বডি ক্যাম খুলিয়ে তাঁকে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়। মায়া সাহা বলেন, 'জীবন সাহা আমার ভাইপো, রক্তের সম্পর্ক। তবে ও কী করেছে না করেছে, সেটা তো বলতে পারব না।' মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের পিয়ারাপুর মধ্যপাড়ায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার শ্বশুরবাড়ি। এদিন সেখানেও তল্লাশি চালায় ED।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement