Jiban Krishna Saha : স্ত্রীর সঙ্গে একদিন দেখা করার অনুমতি, জীবনকৃষ্ণকে ৪ দিনের CBI হেফাজতের নির্দেশ

সিবিআই-এর তরফে আদালতে জানানো হয়, 'তিনি (জীবনকৃষ্ণ সাহা) একজন বিধায়ক (MLA)। দুর্নীতিতে তিনি এজেন্টের ভূমিকা পালন করেন। তিনি অবৈধ পথে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিয়েছেন। তিনি বেশ কয়েকজনকে প্রতারণা করেছেন। তাঁর বাড়ি থেকে বিপুল নথি জব্দ করা হয়েছে। তথ্য-প্রমাণ আড়াল করার জন্য তিনি তাঁর দুটি মোবাইল ফোন ফেলে দিয়েছিলেন'। 

Advertisement
স্ত্রীর সঙ্গে একদিন দেখা করার অনুমতি, জীবনকৃষ্ণকে ৪ দিনের CBI হেফাজতের নির্দেশজীবনকৃষ্ণ সাহা
হাইলাইটস
  • জীবনকৃষ্ণ সাহাকে আদালতে পেশ
  • সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ বিচারকের
  • স্ত্রীকে দেখা করার অনুমতি

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jiban Krishna Saha) ৪ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার বিশেষ সিবিআই আদালতে বিচারক অর্পন চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে পেশ করা হয় তৃণমূল বিধায়ককে। শুনানির সময় জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী বলেন, 'আমার মক্কেল নির্দোষ, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। বাড়িতে তার দুই সন্তান রয়েছে। তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। দয়া করে জামিন দিন'। এরপর বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, 'জিজ্ঞাসাবাদের সময় কেউ উপস্থিত থাকতে চান'? উত্তরে অভিযুক্ত বিধায়কের আইনজীবী বলে, 'হ্যাঁ, আমি সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত থাকতে চাই'। 

অন্যদিকে সিবিআই-এর তরফে আদালতে জানানো হয়, 'তিনি (জীবনকৃষ্ণ সাহা) একজন বিধায়ক (MLA)। দুর্নীতিতে তিনি এজেন্টের ভূমিকা পালন করেন। তিনি অবৈধ পথে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিয়েছেন। তিনি বেশ কয়েকজনকে প্রতারণা করেছেন। তাঁর বাড়ি থেকে বিপুল নথি জব্দ করা হয়েছে। তথ্য-প্রমাণ আড়াল করার জন্য তিনি তাঁর দুটি মোবাইল ফোন ফেলে দিয়েছিলেন'। 

সিবিআই আদালতে আরও জানায়, 'তিনি বাংলার চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন, এজেন্টের ভূমিকা পালন করেছেন। চাকরি প্রার্থীদের প্রতারণা করার জন্য তিনি ওএমআর শিট (OMR Sheet) ব্যবহার করেছেন। ডিজিটাল প্রমাণ নষ্ট করতে দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে নিক্ষেপ করেন। আমরা কয়েকটি অপরাধমূলক নথি বাজেয়াপ্ত করেছি'। এরপরেই ৫ দিনের হেফাজতের আবেদন জানায় সিবিআই। আদালত অবশ্য ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীকে তাঁর সঙ্গে একবার দেখা করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। 

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দীর্ঘ বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার ভোরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি গরুপাচার মামলাতেও তাঁর নাম উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। সিবিআই সূত্রে খবর, "অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে, গরু পাচারে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্তে পাওয়া গিয়েছে। গরু পাচার থেকে পাওয়া কালো টাকা ব্যবহার করে বীরভূম জেলায় বেশ কয়েকটি সম্পত্তিও করেছেন তিনি"।

Advertisement

আরও পড়ুন - 'ইটস আ গেম প্ল্যান', পরপর MLA গ্রেফতারে BJP-কে নিশানা মমতার


 

POST A COMMENT
Advertisement