বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে ফের দলবদলের পালা চলতে পারে। কয়েক দিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জন বার্লা। তৃণমূলে সদ্য যোগদান করেই এবার নয়া জল্পনা উস্কে দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বললেন, আরও এক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেবেন উত্তরবঙ্গ থেকে। তবে কে তিনি, তাঁর নাম বলেননি জন। এই মন্তব্য ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
ঠিক কী বলেছেন জন বার্লা?
জন বার্লা বলেছেন, 'দিদির হাতে উত্তরবঙ্গ তুলে দেব। কিছু দিন পর আরও একজন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন। আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। উত্তরবঙ্গেরই যাবে। শুরু হয়েছে সবে, অনেক পঞ্চায়েত সদস্য আছে, মণ্ডল সভাপতি আছে, আজ না হলে কাল যাবে।'
কয়েক দিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
জন বার্লা বলেছিলেন, 'আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজ উনি আমাকে এত বড় সুযোগ দিয়েছেন সমাজের জন্য কাজ করার জন্য। ৬-৭ মাস ধরেই কথা চলছিল। দিদিও ফোন করে কাজ করতে বলেছিলেন। আমি চা বাগান এলাকায় কাজ করতাম। মন্ত্রীও হয়েছিলাম। মন্ত্রী হওয়ার পরে কাজ করতে চেয়েছিলাম, তাতে আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। আমি আদিবাসীদের জন্য একটা হাসপাতাল তৈরি করতে চেয়েছিলাম। ১৬০ কোটি খরচ ধরা হয়েছিল। যদিও রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই হাসপাতাল আটকে দিয়েছিলেন। জনতা আমাকে কাজ করার জন্য আশীর্বাদ করেছিল। আমাকে আমার পার্টিরই লোকই আপমান করেছে। শুভেন্দু অধিকারী কাজে বাধা দিয়েছেন। হাসপাতাল আটকে দিয়েছেন। তিনি মন্ত্রকে ফোন করে কাজ বন্ধ করা দিয়েছিলেন।'
এরপরেই জন বার্লা বলেন, 'তাই আমি কেন ওই পার্টি, যেখানে আমার কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাহলে কেন কেউ দলের সঙ্গে থাকবে? অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন সরকার চা বাগানের শ্রমিক এবং আদিবাসীদের জন্য উন্নয়নের কাজ করছে।'