অনশনের ১৩ দিন পার। দুর্গাপুজোর পর শেষ হল লক্ষ্মীপুজোও। তারপরও ১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসক বনাম রাজ্য সরকারের সংঘাতের সমাধান সূত্র মিলল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত আশার কথা না শোনানোয় একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা।
জুনিয়র চিকিৎসক সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন তুলে বলেন, "আমাদের খিদের থেকেও বেশি ন্যায়বিচারের জন্য ছটফট করছি। মুখ্যমন্ত্রীর একদিনের জন্যও মনে হল না একবার এখানে আসার? উনি এত নিষ্ঠুর কেন? ১০ দফা দাবি মেনে নিতে এত কষ্ট কেন? ১৩ দিন হল আমরা জল খেয়ে বসে আছি। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন রবিবার পাশে এসে দাঁড়ান, আমাদের মনোবল বাড়ান। কাল সোদপুর থেকে ধর্মতলায় ন্যায়যাত্রার ডাক দেন। আমরা আর কতদিন না খেয়ে থাকব, আপনি আমাদের বলে দিন। সায়ন্তনী ঘোষ হাজরার দাবি, ন্যায্য দাবির জন্য আন্দোলন করছি, কোনও ইগোর লড়াই নেই। মাননীয়াকে প্রত্য়েক জলের ফোঁটার হিসেব দিতে হবে। যে আর কতদিন? শরীর ভাঙছে, কণ্ঠস্বর ক্ষীণ হয়ে আসছে।
জুনিয়র চিকিৎসক রুমেলিকা কুমার বলেন, "স্বাস্থ্য় ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আরও এক অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক। আমার বন্ধুদের আইসিইউতে ভর্তি করার কথআ ছিল না। আজ অনশনের জন্য দায়ী নারায়ণ স্বরূপ নিগব, স্বাস্থ্যসচিব। আমরা আপনাদের ভুলের মাশুল গুনছি। যেভাবে অভয়া আপনাদের ভুলের মাশুল গুনেছে। আপনাদের দুর্নীতি, ধাপ্পাবাজির মাশুল গুনছি। আপনারা যদি ভাবেন অনশনে অসুস্থ হয়ে তুলে নেবে ভেবে থাকেন, তবে ভুল করছেন। কাল ন্যায়বিচার যাত্রা, রবিবার জমায়েত... প্রতিটি মুহূর্তে জবাব দেবে আপনারা ভুল করছেন এবং যা আসতে চলেছে তার একমাত্র দায় আপনার।"
শুক্রবার তাঁদের অনশনের চতুর্দশতম দিন। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও ‘আমরণ অনশন’ চালাচ্ছেন এক জুনিয়র ডাক্তার।