নবান্নে টানা ৬ ঘণ্টার বৈঠকেও কাটল না জুনিয়র চিকিৎসক-রাজ্য সরকারের জট। বৈঠক শেষে হাতে পেলেন না মিনিটস। শুধু তাই নয় ছাত্রদের নির্বাচন, রোগী রেফারাল সহ একগুচ্ছ দাবিতে শুধু মিলেছে মৌখিক প্রতিশ্রুতি। যে কারণে হতাশ হয়েই স্বাস্থ্যভবনে ফিরতে হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের।
রাত সাড়ে ১২টার পর নবান্ন থেকে বেরোন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তার কিছুক্ষণ আগেই নবান্ন থেকে বেরোন মুখ্যসচিব। নবান্ন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, "আজ আন্দোলনের ৪০ দিনের মাথায় এসে আমরা পাঁচ দফা দাবি এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির অপসারণের দাবিতে এসেছিলাম। আমরা সব দাবি মুখ্যসচিবের কাছে রাখি, যাতে দ্বিতীয় কোনও অভয়ার মতো ঘটনা না ঘটে। আলোচনা সমস্ত দাবিদাওয়া নিয়ে হয়েছে। তারা থ্রেট কালচার থেকে WBMC নির্বাচন নিয়ে সমস্যা, সিন্ডিকেট রাজ যেখানে চলত সেখানে নতুন করে তৈরি করা এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। রোগী পরিষেবা নিয়ে সমস্যা, পরিকাঠামো গড়ে তোলা হলে নতুন স্বাস্থ্যব্যবস্থা তৈরি হত। তবে মুখ্যসচিব আলোচনার শেষে মিনিটস দিতে পারবেন না বলেন। শুধু প্রতিশ্রুতি দয়ে মিনিটস তৈরি করেছিলেন। সকালে মেলে তিনি তাঁর ডাইরেক্টিভ পাঠাবেন বলে জানান। আমরা সেই ডাইরেক্টিভের অপেক্ষায় আছি। আমাদের কর্মবিরতি ও অবস্থান চলবে। ডাইরেক্টিভ দিলে আমরা অবস্থআন নিয়ে বিবেচনা করে দেখব।"
আরও এক চিকিৎসক বলেন, "আমরা বারংবার স্বচ্ছতা মানার জন্য জোর দিয়েছিলাম। আমরা উভয় পক্ষের মিনিটস চেয়েছিলাম। আগের দিন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত দাবি সহানুভূতির সঙ্গে শুনেছিলেন। কিন্তু আজ সদর্থকভাবে কথা হলেও, তারা মৌখিকভাবে চুক্তিতে আসেন। কলেজে কলেজে যে থ্রেট কালচার তৈরি হয়েছে তাতে সহমত হন। সাড়ে ৫ ঘণ্টা ধরে আমরা অপেক্ষা করেছি। কিন্তু বৈঠকের শেষে দেখলাম মিনিটস থেকে অনেক কিছু বাদ দেওয়া হল। এই মিটিং হতাশাজনক। আমরা কিছুটা হলেও হতাশ। ওনারা মৌখিকভাবে সদর্থক ছিলেন। তবে লিখিতভাবে কেন দেওয়া হল না? তবে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, কাল সকালে ডাইরেক্টিভ পাঠাবেন। আমরা তার সদুত্তরের অপেক্ষায় আছি।"
আরও বলেন, "আজও আমরা একটা মিনিটসের দাবি করেছিলাম। ইলেকশন, রোগী রেফারাল এইসমস্ত বিষয়গুলি মৌখিক আশ্বাস দিলেও সেগুলি মিনিটসে পেলাম না। আমরা আগেরদিন কিন্তু পেয়েছিলাম।"
ফলে যে দাবিগুলি তাঁরা করছিলেন তা পুরোপরি সম্পূর্ণ না হওয়ায়, এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা।