প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি নির্দেশ খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রাথমিকে নিয়োগে প্যানেল প্রকাশ এবং তা আদালতের সামনে জমা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করেছে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।
১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিকের ৪২ হাজার ৯৪৯ জন প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করতে পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতি। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পর্ষদ যদি প্যানেল প্রকাশ করতে না পারে, তা হলে আদালতে হার্ড কপি জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল পর্ষদ। সেই মামলায় বুধবার প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ খারিজ করা হয়েছে। তবে মামলার বাকি অংশের শুনানি করতে পারবে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।
২০১৪ সালের টেটের (প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা) নিয়োগ ঘিরেই মামলা হয়েছিল। ২০১৬ এবং ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এর আগে, এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় পর্ষদকে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হলফনামা দিয়ে পর্ষদের তরফে জানানো হয় যে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছিল যে, ২০১৬ সালের নিয়োগের রীতি মেনে প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই। পর্ষদের এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছিল পর্ষদ। পরে ডিভিশন বেঞ্চ ওই মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ফেরায়।
নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগের দাবিতে ধর্মতলায় ধরনায় বসেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। অতীতে এই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নানা মন্তব্য ঘিরে সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি।