কালিয়াচককাণ্ড: ৪ জনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে 'ঠান্ডা মাথার' আসিফ

মালদার কালিয়াচকে একই পরিবারের চার জন খুনের ঘটনায় মুল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেই সঙ্গে ধৃতদের কাছ থেকে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্তুজ ও পিস্তল।

Advertisement
পরিবারের ৪ জনকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে আসিফ!অস্ত্র সহ ধৃতরা
হাইলাইটস
  • চারজন খুনে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার
  • ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার প্রচুর গুলি, পিস্তল
  • সন্দেহের তালিকায় ধৃতের দাদাও

কালিয়াচকে চারজন খুনে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

মালদার কালিয়াচকে একই পরিবারের চার জন খুনের ঘটনায় মুল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেই সঙ্গে ধৃতদের কাছ থেকে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

ধৃতের বন্ধুর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়। এই অস্ত্রগুলি অর্থের বিনিময়ে ধৃত দুই বন্ধুর কাছে রাখতে দিয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে এই অস্ত্রগুলি কি কাজে ব্যবহার করা হত, তার তদন্ত শুরু হয়েছে।

শেষ মুহূর্তে বদলে গিয়েছিল প্ল্যান 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে ওই চার জনকে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র দিয়ে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার পরিকল্পনার পরিবর্তন করে ঠান্ডা পানীয়র সাথে নেশার ওষুধ খাইয়ে পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়। এরপর তাদের গোডাউনের ভিতর মাটিতে পুঁতে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

সন্দেহের তালিকায় জিয়াউলও

আরও জানা গিয়েছে, তার বাড়ি থেকে দুশো মিটার দুরে খাগড়াগড় কান্ডের জিয়াউল হকের বাড়ি। ফলে আসিফ মহম্মদকে এই সন্দেহের তালিকা থেকে দূরে রাখা যায় না। অভিযুক্তের দাদা হিসেবে পুলিশের নজর রয়েছে তার উপর। পরিবারের চার সদস্যর মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় আর কারা রয়েছ তা অবশ্য পুলিশ খোলসা করেনি। তবে সবরকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ সুপারের বিবৃতি

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) আনিস সরকার বলেন, খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য ছিল পরিবারের ৪ সদস্যকে খুন করে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আসিফ মহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে কি পাওয়া গেল

জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে এই আগ্নেয়াস্ত্রের কোথা থেকে সংগ্রহ করেছিল। এরপর এই অস্ত্রগুলি সে তার দুই বন্ধুর কাছে রেখেছিল। এরপরই তার দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় পাঁচটি সেভেন এম এম পিস্তল ও ৮৪টি কার্তুজ। গ্রেফতার করা হয় সাবির আলি ও মোহাম্মদ মাহফুজকে। আর তাদের আদালতে পাঠানো হচ্ছে। আসিফকে ও তার দুই বন্ধুকে অগ্নেয় অস্ত্র রাখার অভিযোগে আলাদা করে মামলা করা হয়েছে। আসিফের জন্য ১২ দিনের ও দুই বন্ধু সহ আসিফের জন্য ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেছি। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement