Kaliganj: 'ওদের আনন্দের জন্য আমার মেয়েকে মেরে দেবে?' কালীগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুতে CBI তদন্ত চান মা

কালীগঞ্জে ৯ বছরের নাবালিকার মৃত্যুতে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। পুলিশের দাবি, স্প্লিন্টার ছিটকে এসে পড়ে দুর্ঘটনাবশত মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার। যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ মা। তাঁর দাবি, CBI তদন্ত হোক।

Advertisement
 'ওদের আনন্দের জন্য আমার মেয়েকে মেরে দেবে?' কালীগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুতে CBI তদন্ত চান মাকালীগঞ্জে মৃত নাবালিকা (ইনসেটে)
হাইলাইটস
  • কালীগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যু দুর্ঘটনাবশত বলছে পুলিশ
  • তত্ত্ব খারিজ করলেন নিহত নাবালিকার মা
  • তিনি CBI তদন্তের দাবি তুলেছেন

কালীগঞ্জে বিজয়োল্লাসের বলি হওয়া নাবালিকার মা CBI তদন্তের দাবি জানালেন। ঘটনার পর কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার SP তাঁর সঙ্গে দেখা করে, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। তবে ৯ বছরের তমান্না খাতুনের বাবা ক্ষোভের সঙ্গে পুলিশের SP-কে বলেন, 'কোনও গ্রেফতার করতে পারবেন না আপনারা।' মা-এর দাবি, শুধুমাত্র CPIM-কে ভোট দেওয়ার কারণেই তাঁদের বাড়িতে ইচ্ছাকৃত ভাবে হামলা চালিয়ে মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। 

একরত্তিকে হারিয়ে শোকে পাথর গোটা পরিবার। মা-এর কান্না থামছেই না। এদিকে, বাড়ির দেওয়াল থেকে মিলেছে স্প্লিন্টার হামলার চিহ্ন। এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার SP বলেন, 'স্প্লিন্টার দুর্ঘটনা বশত ছিটকে এসে পড়েছে। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।' এই তত্ত্ব সাফ খারিজ করে দিয়েছেন নিহত নাবালিকার মা। তাঁর দাবি, 'আমরা CPIM পার্টিকে ভোট দিই সে কারণে ইচ্ছে করে বোমা ছোড়া হয়েছে বাড়িতে। CBI এসে তদন্ত করুক। আমার মেয়ের জামা ছিড়ে গিয়েছিল। আমি ওর দেহ তুলতে পারছিলাম না।'

সন্তানহারা মা-এর প্রশ্ন, 'উৎসব করে কি মানুষ মেরে দেবে? ওদের আনন্দের জন্য আমার কোল খালি করে দেবে?'

সোমবার উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা খাতুন। জয়ের পরই বিজয় উৎসব শুরু হয় কালীগঞ্জে। মিছিল করে, দলীয় পতাকা নিয়ে এলাকায় চলছিল জয়ের সেলিব্রেশন। সে সময়ে মা-এর হাত ধরে বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তমান্না খাতুন। অভিযোগ, বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হয় বোমা। যা এসে লাগে তমান্নার গায়ে। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় দেহ। মা-এর চোখের সামনেই নাবালিকার মৃত্যু হয়। 

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু ওই বাড়িতেই নয়, এলাকার বাম সমর্থকদের বাড়িতে পরপর বোমা ছোড়া হয়। তমান্নার মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, 'আমার মেয়ে হাত ছেড়ে কোথাও যায় না। খেলতেও যায় না। আমার হাতে মাথা দিয়ে ঘুমোয়। আজও আমার হাত ধরে যাচ্ছিল। হঠাৎ আওয়াজ শোনা গেল। মেয়েটা আমার হাত ছেড়ে একদিকে পড়ল, আমিও একদিকে পড়ে গেলাম। উঠে দেখি আমার একদিকটা জ্বলছে। তারপরই দেখি তমান্না পড়ে আছে।'

Advertisement

ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে তিনি অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে, তৃণমূলের দাবি, এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, 'কেউ অতি উৎসাহী হয়ে এই কাজ করল নাকি কেউ তৃণমূলের ভাল ফলের পর দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই কাজ করল সেটা দেখতে হবে।'

 

POST A COMMENT
Advertisement