নদিয়ার কালীগঞ্জে ভোটহিংসায় বোমাবাজিতে ১০ বছরের বালিকা তামান্না খাতুনকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্তকে।পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত গাওয়াল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ৩ জনকে। এই নিয়ে খুনের ঘটনায় ধৃত বেড়ে হয়েছে ৯।
তামান্নার মৃত্যুর পর পরিবারের তরফে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তাতে গাওয়ালের নাম ছিল। কালীগঞ্জে উপনির্বাচনে গণনার দিন তৃণমূলের বিজোয়াল্লাসে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় গাওয়াল অন্যতম মূল অভিযুক্ত বলে পুলিশের দাবি।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুন কালীগঞ্জে বিধানসভার উপনির্বাচন ছিল। গত সোমবার ভোটগণনা ছিল। সেদিন ফল পুরোপুরি ঘোষণার আগেই তৃণমূলের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। তারপরই বিজয় মিছিল শুরু হয়। বিজয় মিছিল থেকেই সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তামান্নার। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তামান্নার পরিবার।
শনিবার গাওয়ালের গ্রেফতারির খবরে তামান্নার মা সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, 'গাওয়াল মূল মাথা। ওর নির্দেশে বোমা হামংলা হয়েছে। তবে ওর উপরেও মাথা আছে। পুলিশ সেটাও তদন্ত করে দেখুক।'
ঘটনার পরে কৃষ্ণনগর জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে দাবি করেছিলেন, 'দুর্ঘটনাবশত বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে।' এই মন্তব্যে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তামান্নার মা। তিনি বলেন, 'এটা পরিকল্পিত খুন। একে দুর্ঘটনা বলে চালানো যাবে না। পুলিশকে অনুরোধ করছি, তারা যেন সেই মন্তব্য প্রত্যাহার করে।'