নিউ জলপাইগুড়িতে একটি পণ্যবাহী ট্রেন এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৮ মৃত্যু হয়েছে, এবং ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পেছন থেকে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। এবার জানা গেল ট্রেনের লোকো পাইলট সিগন্যাল মানেননি। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান জয়া ভার্মা সিনহা জানিয়েছেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। একটি পণ্যবাহী ট্রেনের চালক একটি যাত্রীবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেন। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, পণ্যবাহী ট্রেনের চালক সিগন্যাল উপেক্ষা করেছিলেন। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছনের গার্ড বগি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সামনের দুটি পার্সেল ভ্যানের বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি। পণ্যবাহী ট্রেনের চালক (লোকো পাইলট) সিগন্যাল পুরোপুরি উপেক্ষা করেছিলেন। এই দুর্ঘটনায় মাল ট্রেনের চালক ও কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ডেরও মৃত্যু হয়েছে। আগরতলা-শিয়ালদহ রুটের সমস্ত রেলস্টেশনে হেল্প ডেস্ক তৈরি করা হয়েছে। সিনহা বলেন, এই দুর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে মানবিক ভুল প্রকাশ্যে এসেছে। তবে তদন্ত শেষ হলেই সঠিক তথ্য জানা যাবে। আমরা ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ এই সংঘর্ষ ঘটে। যখন ১৩১৭৪ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস আগরতলা থেকে শিয়ালদা যাচ্ছিল। এই সংঘর্ষে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। রেলের প্রাথমিক অনুমান, লাল সিগন্যাল দেখতে পাননি মালগাড়ির চালক। সেই কারণেই একই লাইনে এসে যায় সেটি। সাধারণত যে লাইনে এক্সপ্রেস ট্রেন চলে, সেই লাইনে মালগাড়ি চালানো হয় না। মালগাড়িকে দাঁড় করিয়ে পাস করানো হয় এক্সপ্রেস। এ ক্ষেত্রে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনেই ছিল মালগাড়িটি। একই লাইনেই দু’টি ট্রেন পাস করানোর পরিকল্পনা ছিল রেলের। তবে আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে শিয়ালদহের উদ্দেশে রওনা করিয়ে দিয়ে তার পর মালগাড়িকে পাস করানোর কথা।