Khidirpur Mamata: 'তোমাদের অব্যবস্থার জন্যই...' খিদিরপুরে ক্ষুব্ধ মমতা, ক্ষতিপূরণ-স্থায়ী বাজারেরও আশ্বাস

ক্ষতিপূরণ, নতুন দোকান গড়ার আশ্বাস দিলেন। তবে 'অব্যবস্থা' নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার খিদিরপুরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
'তোমাদের অব্যবস্থার জন্যই...' খিদিরপুরে ক্ষুব্ধ মমতা, ক্ষতিপূরণ-স্থায়ী বাজারেরও আশ্বাসযাঁদের দোকান পুরো জ্বলেছে, তাঁদের ১ লক্ষ টাকা এবং নতুন দোকান দেওয়া হবে: মুখ্যমন্ত্রী।
হাইলাইটস
  • সোমবার খিদিরপুরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি।
  • যাঁদের দোকান পুরো জ্বলেছে, তাঁদের ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।

ক্ষতিপূরণ, নতুন দোকান গড়ার আশ্বাস দিলেন। তবে 'অব্যবস্থা' নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার খিদিরপুরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। বলেন, 'এই মার্কেট নতুন করে গড়ে তোলা হবে। বিজ্ঞানসম্মত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। আপাতত কাছাকাছি একটি জায়গায় অস্থায়ীভাবে বাজার স্থানান্তরিত করা হবে। সেই জায়গা আগে অন্য কাজে রাখা হয়েছিল।'

সোমবার সকালেও ধোঁয়া উঠছিল খিদিরপুর বাজার থেকে। রবিবার সারারাত ধরে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে একের পর এক দোকান। পুড়ে ছাই তেলের গুদামও।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে, কে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রিপোর্ট হাতে আসার পরেই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে। যাঁদের দোকান পুরো জ্বলেছে, তাঁদের ১ লক্ষ টাকা এবং নতুন দোকান দেওয়া হবে। আর যাঁদের আংশিক ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে সম্পূর্ণ রিনোভেশন করার আশ্বাস দেন।

তবে ব্যবসায়ীদের উদাসীনতাকেই এদিন দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক ব্যবসায়ী যখন প্রশ্ন তোলেন, 'এবার আমাদের সংসার চলবে কীভাবে?', তখন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেন, 'ভাই, দোকানে আগুন আমরা তো লাগাইনি। তোমাদের অব্যবস্থার জন্যই এই অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সরকার বিনা পয়সায় নতুন মার্কেট করে দেবে, এটা সরকারের দায়িত্ব।'

এরপর এক ব্যবসায়ী বলেন, 'মার্কেট ঠিক হতে তো অন্তত ৬ মাস লাগবে।' উত্তরে মমতা বলেন, 'কে বলেছে?' এরপর ফের প্রশ্ন তোলা মাত্রই ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, 'কে ভাই তুমি? সরকার সমব্যথী। কিন্তু দোকান শিফট হওয়ার পরেই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে।'

সেই সঙ্গে তিনি পুলিশকে নির্দেশ দেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ব্যারিকেড করে দেওয়া হোক এবং জলের ব্যবস্থা করা হোক। দমকলকেও সতর্ক করেন। আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিতে বলেন তিনি।

প্রশাসনের একাংশের মতে, দোকানগুলি অপরিকল্পিতভাবে তৈরি হওয়ায় এবং প্রবেশপথ সরু হওয়ায় দমকল যথাযথভাবে পৌঁছতে পারেনি। সেই কারণেই আগুন এতটা ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ দোকানে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। 

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, কলকাতা পুরসভা নতুন করে মার্কেট তৈরি করবে। তবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকে ভবিষ্যতে অবহেলা করলে ফের বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকেই যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

POST A COMMENT
Advertisement