কল্যাণী এইমস-এর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের আবেদন খারিজ করলো কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে দেয়। সেক্ষেত্রে মামলার তদন্তভার সিআইডি-র হাতেই রইলো। ইতিমধ্যেই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সিআইডি। এদিন সেই সিআইডি তদন্তেই শিলমোহর দিল হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ খুব স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেয় যে, কল্যাণী এইমস-এর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে যে মামলা হয়েছে তা খারিজ করা হল। মামলার তদন্তভার আপাত সিআইডি-র হাতেই থাকছে।
প্রসঙ্গত কল্যাণীর এইম-এর নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে বিজেপির একাংশের নেতা-মন্ত্রীদের। বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে নিজের মেয়ে মৈত্রেয়ী দানাকে কল্যাণী এইমসে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। মামলার তদন্তে মাসখানেক আগে বাঁকুড়ায় নীলাদ্রি শেখরের বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদও করেন সিআইডি-র আধিকারিকরা। এই ঘটনায় প্রথমে কল্যাণী থানায় এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। এরপর চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূ অনসূয়া ঘোষ ধরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এক্ষেত্রে বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, যে তাঁরা প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের আত্মীয়দের এইমসে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এফআইআর-এ মোট ৮ জনের নাম রয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ এবং ১২০বি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে নীলাদ্রি শেখরের মেয়েকে। সেই পদের বেতন ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি নাকি এই চাকরির জন্য পরীক্ষাই দিতে যাননি। যদিও ইতিমধ্যেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি বিধায়ক। ঘটনায় নাম উঠে এসেছে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারেরও। যদিও তাঁর অভিযোগ সিআইডি রাজ্যের শাসকদলের নির্দেশে কাজ করছে।
আরও পড়ুন - টিউশন পড়তে গিয়ে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ মালদার ছাত্র, অপহরণের দুশ্চিন্তা