নবান্নের সামনে ধর্নায় আপত্তি নেই। তবে ৩ দিন নয়। ৪৮ ঘণ্টা। ধর্নার সময় কমিয়ে এমনই রায় দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ, শনিবার বিকেলে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে উঠে যেতে হবে ডিএ নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীদের। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এমনটা জানিয়েছে। রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দেয় আদালত।
এদিন শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানতে চান, 'মুখ্যমন্ত্রী ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন। তার পরেও কেন ধর্না?' এর উত্তরে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, 'আন্দোলনকারীরা এতে খুশি নন। রাত থেকে ধর্না কর্মসূচি শুরু করেছেন।'
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আরও ৪ শতাংশ ডিএ-র ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের আরও ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এর আগে ৬ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বড়দিনের আগে সরকারি কর্মীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করলেন মমতা।
এদিকে বৃহস্পতিবারই নবান্নের সামনে ধরনার অনুমতি পান রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর নবান্নের বাস স্ট্যান্ডে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে ধরনার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই অনুমতি দেন। তবে এবার সেই সময় কমিয়ে ২৪ তারিখ করা হয়। বড়দিন ও উৎসবের মরসুমের কথা মাথায় রেখে ধরনার সময় কমানো হয়।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ কেন্দ্রের হারে ডিএ-র দাবিতে নবান্নের সামনে পৌঁছে যান সরকারি কর্মচারীরা। আন্দোলনকারী কর্মীরা সেখানে পৌঁছাতেই পুলিশের সঙ্গে শুরু হল বচসা। নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে আন্দোলনকারীরা কেউ কেউ রাস্তায় বসে পড়লেন। হাতে প্ল্যাকার্ড। এদিকে তাঁদের তুলে দিতে এগিয়ে এলেন পুলিশ কর্মীরা। আর সেই সময়েই শুরু হল বচসা।