নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের আরও এক নেতাকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ধৃতের নাম প্রবীর। সূত্রের খবর, এই নিয়ে মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হল। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ছাত্র সমাজের অন্যতম মুখ সায়ন লাহিড়িকে।
আরজি করকাণ্ডে বিচার এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, ওই দুই দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়ে রাতারাতি নজর কেড়েছে 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ'। মঙ্গলবার ছাত্র সমাজের ডাকা এই কর্মসূচি সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধে গঙ্গার দুই পাড় উত্তাল হয়েছে। নবান্ন অভিযানের পরই গ্রেফতার করা হয়েছে ছাত্র সমাজের অন্যতম প্রধান মুখ সায়ন লাহিড়িকে। এবার গ্রেফতার করা হল আরও এক নেতাকে।
দু'দিন আগে পর্যন্তও 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ' বলে কোনও সংগঠন আছে কি না রাজ্যে, সে ব্যাপারে কেউই প্রায় অবগত ছিলেন না। আচমকাই যেন ধূমকেতুর মতো উদয় এই সংগঠনের। আর প্রথম কর্মসূচিতেই তারা সাড়া ফেলেছে বলে দাবি একাংশের।
পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ কী? ছাত্রদের একটি সংগঠন বলে দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই সংগঠনের তরফেই নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। সংগঠনটি 'অরাজনৈতিক' বলে দাবি করা হয়েছে। এই সংগঠনের অন্যতম মুখ সায়ন। তিনি রবীন্দ্র মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। সায়ন এই সংগঠনের আহ্বায়ক।সংগঠনে রয়েছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভঙ্কর হালদার এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের পড়ুয়া প্রবীর দাস। গত সোমবার নবান্ন অভিযানের আগে প্রেস ক্লাবে যে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছিল ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে, তাতে প্রধান মুখ ছিলেন সায়ন। সেই সায়নকেই নবান্ন অভিযানের পর গ্রেফতার করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে বার বার দাবি করা হয়েছে, তারা অরাজনৈতিক সংগঠন। কিন্তু সংগঠনের প্রতিনিধিদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সায়ন কলেজ জীবনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ছিলেন বলে নিজেই সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন। আবার সংগঠনের এক সদস্য আরএসএসের সদস্য বলে নিজে মুখে স্বীকার করেছেন। ফলে এই সংগঠন আদৌ 'অরাজনৈতিক' কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর চলছে।