Kolkata Police New Guidelines: দু'মাস কোন কোন এলাকায় জমায়েত নয়? নজরে ভাড়াটেও, ৪ বড় নির্দেশ কলকাতা পুলিশের

পাঁচ ঘণ্টায় পরপর চারটি নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুলিশ। আগামী সপ্তাহে পুজো, এরই মধ্যে লাগাতার চলছে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ। তার আগে মঙ্গলবার এল চার চারটি নির্দেশিকা। সন্ধে পৌনে ছ’টায় এল প্রথম নির্দেশিকা। তাতে বলা হয়, সাইবার কাফেগুলিতে সচিত্র পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে কাফে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। কারা আসছেন কাফেতে তার নথি দিতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চতুর্থ নির্দেশিকাটি।

Advertisement
দু'মাস কোন কোন এলাকায় জমায়েত নয়? নজরে ভাড়াটেও, ৪ বড় নির্দেশ কলকাতা পুলিশেরকলকাতায় এই এলাকাগুলিতে জমায়েত নিষিদ্ধ করল কলকাতা পুলিশ

Kolkata Police New Guidelines: পাঁচ ঘণ্টায় পরপর চারটি নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুলিশ। আগামী সপ্তাহে পুজো, এরই মধ্যে লাগাতার চলছে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ। তার আগে মঙ্গলবার এল চার চারটি নির্দেশিকা। সন্ধে পৌনে ছ’টায় এল প্রথম নির্দেশিকা। তাতে বলা হয়, সাইবার কাফেগুলিতে সচিত্র পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে কাফে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। কারা আসছেন কাফেতে তার নথি দিতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চতুর্থ নির্দেশিকাটি। যাতে বলা হয়, তাদের কাছে খবর রয়েছে কিছু মিছিল, জমায়েত হতে পারে যাতে শান্তিভঙ্গ হতে পারে। তাই শান্তি বজায় রাখতে ২ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এক সঙ্গে পাঁচজনের বা তার বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ থাকবে। কলকাতা পুলিশের নয়া কমিশনার মনোজ বর্মার সাক্ষর করা এই  নির্দেশিকায় আর কী কী আছে?

প্রথম নির্দেশিকা অনুযায়ী,  শহরের সাইবার কাফেগুলিতে দুষ্কৃতী বা জঙ্গিরা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ চালাতে পারে, যে কারণে সচিত্র পরিচয়পত্র দিয়েই সাইবার কাফে ব্যবহার করতে দিতে হবে। কারা আসছেন কাফেতে তার নথি রাখতে হবে। কোনও কম্পিউটারের সার্ভারের তথ্যও সংরক্ষিত রাখতে হবে।

দ্বিতীয় নির্দেশিকায় শহরকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও বর্জ্য পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

তৃতীয় নির্দেশিকায় বলা হয়, কেউ নিজের ঘর ভাড়া দেন তাঁর পরিচয় সম্পর্কে তথ্য রাখতে হবে। কলকাতা পুলিশ চাইলে তা জানতে পারে। ভাড়াটের আড়ালে কোনও দুষ্কৃতী বা জঙ্গি যেন ঠাঁই না নিতে পারে। 

চতুর্থ এবং অন্তিম নির্দেশিকায় বলা হয়, ২ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত  ময়দান থানার আওতায় থাকা প্রেস ক্লাব চত্বর, নিউ রোড এবং মেয়ো রোড ক্রসিং, খিদিরপুর ক্লাব এবং বিধান মার্কেটের মাঝের রাস্তা এবং মেয়ো রোডের উত্তরের ফুটপাথে জমায়েত নিষিদ্ধ।  পাঁচজন বা তার বেশি জায়েত করা যাবে না। এছাড়া, হেয়ার স্ট্রিট থানার অন্তর্গত ফেয়ারলি প্লেস এবং ইন্ডিয়ান এক্সচেঞ্জ, শহিদ ক্ষুদিরাম বসু সরণি এবং রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, ব্রাবোর্ন রোড, ডালহৌসি, ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিট, স্ট্র্যান্ড রোড এবং লালবাজার চত্বরেও সব রকম জমায়েত নিষিদ্ধ।

Advertisement

নির্দেশ ভঙ্গ করলে পুলিশ আধিকারিকেরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে।

যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, এটি একটি রুটিন নির্দেশিকা। তবে সামনে পুজো পাশাপাশি চলছে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, জমায়েত। এই সময়ে কেন এই ধরনের নির্দেশিকা চাপানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। পুলিশের এহেন তৎপরতা ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী দলগুলিও।

POST A COMMENT
Advertisement