আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। নিজেদের হেফাজতে চাইলই না সিবিআই। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপ-সহ ৪ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর পরই সন্দীপকে ঘিরে ক্ষোভ তৈরি হয়। সন্দীপের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। শেষে কৌশিকী অমাবস্যার দিন সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তারপর থেকে সিবিআই হেফাজতে ছিলেন সন্দীপ। সন্দীপের পলিগ্রাফ পরীক্ষাও করানো হয়।
অন্য দিকে, এদিনও সন্দীপকে লক্ষ্য করে 'চোর, চোর' স্লোগান দেওয়া হয়। গত সপ্তাহেও আদালত চত্বরে সন্দীপকে লক্ষ্য করে 'চোর, চোর' স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। শুধু তা নয়, সন্দীপকে সপাটে চড় কষান এক ব্যক্তি। গত মঙ্গলবার আলিপুর আদালত চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। আদালত থেকে সন্দীপকে বার করা হচ্ছিল। সেই সময়ই তাঁকে এক ব্যক্তি চড় কষান বলে অভিযোগ। সন্দীপকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালত থেকে সন্দীপকে বেরোনোর সময় তাঁকে এক ব্যক্তি চড় মারেন বলে অভিযোগ।
আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদ অব্যাহত। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান কর্মসূচি করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গত রবিবার ফের রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সোমবার ভোর দখলের ডাক দিয়েছিল শিলিগুড়ি। রোজই কিছু না কিছু প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে সর্বত্র। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে সরব আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। গত সপ্তাহে ফিয়ার্স লেনে রাতভর অবস্থান করেন তাঁরা। পরে তাঁদের আন্দোলনে পিছু হঠতে বাধ্য হয় পুলিশ। গত মঙ্গলবার বিকেলে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ২২ জন প্রতিনিধি লালবাজারে গিয়ে কলকাতার নগরপালের সঙ্গে দেখা করেন। সিপির পদত্যাগের দাবিতে সিপিকেই ডেপুটেশন দেন তাঁরা। তারপরে লালবাজারের কাছে অবস্থান তোলেন বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা। গত সপ্তাহে বিধানসভায় পাশ করা হয় রাজ্য সরকারের আনা ধর্ষণ বিরোধী বিল 'অপরাজিতা'। বিলকে পূর্ণ সমর্থন জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।