কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। এই বর্বরোচিত ঘটনার পরও সঞ্জয়ের চোখেমুখে অনুতাপের চিহ্ন নেই। ভয়-ডরের কোনও বালাই-ই নেই। পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ের 'জানোয়ারের মতো প্রবৃত্তি' রয়েছে। এমন সব তথ্যই উঠে এল ধৃতের সাইকোলজিক্যাল বিশ্লেষণে।
নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সঞ্জয়ের 'জানোয়ারের মতো প্রবৃত্তি' রয়েছে। সঞ্জয় বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। গত ৯ অগাস্ট হাসপাতালের সেমিনার হল থেক চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তার পরের দিনই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সঞ্জয়ের ফোনে পর্নোগ্রাফির ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে। সিবিআঅই সূত্রে খবর, সঞ্জয়ের কোনও অনুশোচনা নেই। নির্দ্বিধায় ঘটনার নানা বিবরণ প্রকাশ করেছে সে। ঘটনার দিন সঞ্জয় হাসপাতালে যে ছিল, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে সঞ্জয়ের ডিএনএ পরীক্ষার বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে সঞ্জয় হাসপাতালের পাশে একটি রেড লাইট এলাকায় গিয়েছিল। সেখানে থেকে ফেরার সময় এক মহিলার শ্লীলতাহানি করে। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পরও এক মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ করে বলে অভিযোগ।
অন্য দিকে, এই ঘটনায় শুধু সঞ্জয়ই জড়িত, না কি আরও কেউ রয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিহত চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারেন।
আরজি করের ঘটনা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। রাজ্য সরকার এবং পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, 'রাজ্য সরকার কেন ভাঙচুরের ঘটনা রুখতে পারল না বুঝতে পারছি না।' পাশাপাশি, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত। এদিন আদালত বলেছে, 'চিকিৎসকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। জনতার দল ঢুকে পড়ল। পুলিশ কী করছিল। গুরুতর অপরাধ। অপরাধের জায়গাকে কি সুরক্ষিত করেছিল পুলিশ?'এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ সেপ্টেম্বর। অন্য দিকে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো নিয়ে শুক্রবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে শিয়ালদা আদালত।