কৃষ্ণনগরের ছাত্রী খুনে অবশেষে গ্রেফতার দেশরাজ। গত এক সপ্তাহ ধরে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। তার খোঁজে উত্তরপ্রদেশে পাড়ি দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের ৩টি দল। রবিবার রাতেই তাকে পাকড়াও করা হয়েছে। সোমবার ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে।
প্রসঙ্গত, রবিবার প্রথমে পুলিশের জালে ধরা পড়ে দেশরাজের মামা। গুজরাটের জামনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় কুলদীপ সিং নামে এক ব্যক্তিকে। এরপর তাকে জেরা করেই দেশরাজের গা ঢাকা দেওয়ার ঠিকানার সন্ধান মেলে। মামাই তাকে খুনের পর পালাতে সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ।
গত সোমবার কৃষ্ণনগরে ছাত্রীকে গুলি করে চম্পট দেয় দেশরাজ। ঘটনার পর থেকেই উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ায় পৈতৃক বাড়িতে পালিয়ে গিয়েছিল সে। তাকে গ্রেফতার করতে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশের তিনটি দল উত্তরপ্রদেশে রওনা দেয়।
দেশরাজের বাবার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে রাজস্থানের জয়সলমেরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে পুলিশ। জানা যায়, ‘প্রেমিকা’কে খুনের পর প্রথমে মামার সঙ্গেই যোগাযোগ করেছিল উত্তরপ্রদেশের এই যুবক।
কাঁচরাপাড়ার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত ইশিতা মল্লিক। পড়াশোনার সুবিধার জন্য কাঁচরাপাড়াতে একটি ঘর ভাড়া করে থাকত সপরিবারে। বাবা দুলাল মল্লিক প্রাক্তন সেনাকর্মী। ইশিতার স্কুলেই ভর্তি হয়েছিল দেশরাজ সিংও। আদতে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা দেশরাজ। বাবা NDRF কর্মী। কর্মসূত্রে তিনি স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকতেন উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরে। কাঁপা-চাকলা পঞ্চায়েত এলাকার ধরমপুরের একটি কলোনিতে ভাড়া বাড়িতে বসবাস তাঁদের। গত বছর একসঙ্গেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিল ইশিতা ও দেশরাজ। দু'জনের মধ্যে খুল অল্প দিনের মধ্যেই বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, বন্ধুত্ব থেকে পড়ে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে এবং প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, সম্প্রতি সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল তাদের। ইশিতা সম্পর্ক থেকে বেরিয়েও আসতে চেয়েছিল। তবে নাছোড়বান্দা ছিল দেশরাজ।