Kunal Ghosh on Jiban Krishna: জীবনকৃষ্ণ গ্রেফতার, মোদীর সফর প্রসঙ্গ টেনে কুণাল বলছেন, 'অনুমান করেছিলাম'

'প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরেই এজেন্সি সক্রিয় কেন?' জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারিতে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ। সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে ইডির হানার পরই ফের বিজেপির বিরুদ্ধে 'এজেন্সি নির্ভর রাজনীতি'র অভিযোগ তুললেন তিনি।

Advertisement
জীবনকৃষ্ণ গ্রেফতার, মোদীর সফর প্রসঙ্গ টেনে কুণাল বলছেন, 'অনুমান করেছিলাম'কুণাল বলেন, 'এমন পদক্ষেপ যে হবে, তা আমরা আগেই অনুমান করেছিলাম।'
হাইলাইটস
  • পুকুরে ঝাঁপ দিয়েও শেষরক্ষা হল না
  • ED-র হাতে গ্রেফতার তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ
  • পাঁক-কাদা মাখা অবস্থায় তাঁকে পুকুর থেকে টেনে তুলল কেন্দ্রীয় বাহিনী

'প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরেই এজেন্সি সক্রিয় কেন?' জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারিতে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ। সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপরই ফের বিজেপির বিরুদ্ধে 'এজেন্সি নির্ভর রাজনীতি'র অভিযোগ তুললেন তিনি।

‘প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরেই সক্রিয় এজেন্সি’
কুণাল ঘোষ বলেন, 'এই বিষয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম না, তাই কী হয়েছে বলতে পারছি না। যদি কাউকে কিছু বলতেই হয়, সেটা বলবেন জীবনকৃষ্ণ সাহা নিজে বা তাঁর আইনজীবী। তবে প্রধানমন্ত্রী দু’দিন আগেই সফরে এসেছিলেন। তার পরই কি এজেন্সি এত সক্রিয় হয়ে উঠল? এমন পদক্ষেপ যে হবে, তা আমরা আগেই অনুমান করেছিলাম। বিজেপির বুথে কোনও সংগঠন নেই, কোনও এজেন্ট নেই। ওরা শুধু কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভরসায় চলছে।'

মোবাইল ফোন ইস্যুতে কুণালের বক্তব্য
তদন্তকারীদের দাবি, জীবনকৃষ্ণ বারবার তাঁর ফোন ছুঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন। এদিনও তিনি ফোন নর্দমায় ফেলে দেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, 'আমি জানি না কেন তিনি ফোন ছুঁড়েছেন। তবে ফোন ফেলে দিলেই তার ডেটা তথ্য মুছে যায় না। প্রযুক্তি এত উন্নত যে, সব তথ্যই উদ্ধার করা সম্ভব।'

অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ
এরপরেই অমিত শাহের উদ্দেশে কুণালের আক্রমণ, 'আমি অমিত শাহকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনার দলে যোগ দিলেই কেন তদন্ত থেমে যায়? আগে আপনার দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। দেশের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ আছে বিজেপির লোকেদের বিরুদ্ধে। আগে তাঁদের বহিষ্কার করুন।'

জীবনকৃষ্ণ নিয়ে শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া
শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা দাবি, 'জীবনকৃষ্ণ সাহা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের অন্যতম এজেন্ট। বীরভূম আর মুর্শিদাবাদ জেলার সমস্ত তালিকা তৈরি, টাকা তোলা, পৌঁছে দেওয়া আর একটা অংশ রাখার কাজ করতেন উনি। আমি বহুবার বলেছি, কাঁদি, নবগ্রাম, এসব এলাকার এমএলএদের সঙ্গে কাজ করতেন জীবনকৃষ্ণ। চাকরি পাইয়ে দিতেন। তাই কান টানলেই মাথা আসবে।'

প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের আন্দি গ্রামে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে ইডি হানা দেয়। অভিযোগ, ইডির থেকে বাঁচতে দেওয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। ফোনও জলে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে ধরে ফেলেন ইডি আধিকারিকরা। আপাতত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানেই পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদ চালাবে ইডি। ​​​​​

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement