scorecardresearch
 

পুরনোদের দলে ফেরানো নিয়ে রহস্য কুণালের, গভীর ইঙ্গিত কার বিরুদ্ধে?

পুরনোরা চার্টার্ড প্লেনে গিয়েছিল, দলে ফিরছে টোটোয় করে। রবিবার কোন্নগরে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর অনুমতিতেই দল ছেড়েছিলেন যাঁরা, তাঁরা প্রত্যেকে দলে এসেছেন। তাহলে হঠাৎ এ কথা বললেন কেন কুণাল! ইতিউতি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement
সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ
হাইলাইটস
  • কুণালের ইঙ্গিত ঘিরে ফিসফাস
  • দলের পুরনোদের সেন্টিমেন্ট বুঝে চলবে দল
  • দলনেত্রীর সিদ্ধান্ত মানতে আর্জি কর্মীদের

চার্টার্ড প্লেনে কে?

পুরনোরা চার্টার্ড প্লেনে গিয়েছিল, দলে ফিরছে টোটোয় করে। রবিবার কোন্নগরে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর অনুমতিতেই দল ছেড়েছিলেন যাঁরা, তাঁরা প্রত্যেকে দলে এসেছেন। তাহলে হঠাৎ এ কথা বললেন কেন কুণাল! ইতিউতি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

নিজের বক্তব্যে নিজেই অটল থাকলেন না

যদিও ব্যাখ্যা চাইতে তিনি অবশ্য নিজের বক্তব্যকেই খণ্ডন করেন। এদিন তৃণমূলের তরফে তিনি, পুরনোদের দলে ফেরানো নিয়ে দুকুল রক্ষা করে জানান, যাঁদের ছাড়া দল ভাল ফল করেছে, তাঁদের বাদ দিয়েই দল চলবে। দলের যাঁদের নিয়ে রাজ্যে জয় এসেছে, সে সমস্ত কর্মীদের সেন্টিমেন্টে আঘাত দেওয়া হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না যাতে সাধারণ তৃণমূলের কর্মীদের মনে আঘাত করে। যারা তৃণমূল থেকে গিয়ে গদ্দারি করে বিজেপির ঝান্ডা ধরে তৃণমূল এবং নেত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিল তাদের নেওয়ার সম্ভাবনা নেই।

দলনেত্রীর সিদ্ধান্ত মানতে আর্জি দলীয় কর্মীদের কাছে

অন্য়দিকে তিনি নিজেই পরক্ষণে জানান, সমস্ত সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেবে। তাই উনি যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে দলে কাউকে নেন, তাহলে কর্মীদের তা মেনে নেওয়া উচিৎ। এদিকে অনেককেই তো দলে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। লাইনে রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো চর্চিত নেতা। তাহলে বিশেষ কাউকে লক্ষ্য করে কী আগাম জবাবদিহি করে রাখলেন তিনি! তা অবশ্য পরিষ্কার হয়নি। 

বিজেপি পরাজয় মানতে পারছে না

পাশাপাশি তিনি বিজেপি প্রসঙ্গে বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নিজেদের পরাজয় মানতে পারছে না। যার জন্যেই তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা রকম ফন্দি আঁটছে। তা সফল হবে না। কখনও ৩৫৫, ৩৫৬ ধারার মতো কথা বলে বেড়াচ্ছেন। দাবি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

বিজেপি দাঁত নখ বার করেছে

Advertisement

এই কোভিড পরিস্থিতিতে তাদের এই চক্রান্ত মানুষ মেনে নেবে না। ওদের নখ দাঁত বেরিয়ে পড়েছে।  যা মানুষ ভালোভাবে বুঝে গিয়েছে। রবিবারে কোন্নগরে এক রক্তদান শিবিরে এসে বিজেপির প্রতি বিষোদ্গার করেন কুণাল।

রাজ্যকে মানুষের কাজ করতে বাধা দিচ্ছে বিজেপি

তিনি বলেন এখন তারা পরাজয় হজম করতে না রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগে চক্রান্ত শুরু করেছে। এই সময় ইয়াস পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার ত্রাণের কাজ করছে। করোনা পরিস্থিতি থেকে রাজ্যবাসীকে বের করে আনতে রাজ্য সরকার কাজ করছে। কিন্তু বিজেপি মানুষের কাজে বাধা দিচ্ছে। রাজনীতি থেকে বের হতে পারছে না।

 

Advertisement