শান্তিনিকেতন এলাকায় ফের বেআইনি জমি দখলের অভিযোগ উঠল। সোনাঝুরি সংলগ্ন বোলপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগে হস্তক্ষেপ করল প্রশাসন। উদ্দেশ্য ছিল, রাস্তা নির্মাণ করে পরে ওই জমিতে প্লট কেটে বিক্রি করা। তবে বোলপুর মহকুমা প্রশাসনের তৎপরতায় সেই চক্রান্ত বানচাল করা সম্ভব হয়েছে।
বোলপুর পৌরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার বাপি বীরবংশী জানিয়েছেন, 'সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। বিএলআরও অফিস এবং পৌরসভা যৌথভাবে তদন্ত করে দখলের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। তাই আমরা এসে সরকারি জমিতে বোর্ড বসিয়ে দিলাম।'
সূত্র অনুযায়ী, পর্যটন বিভাগের মালিকানাধীন জমির একাংশ দখল করে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চলছিল। ওই রাস্তা তৈরি হলেই বেশ কিছু জমি প্লট কেটে বিক্রির রাস্তা খুলে যেত। প্রশাসন জানতে পারে, ওই জমিগুলির কিছু অংশ সেচ বিভাগের মালিকানাধীনও।
এই খবর পাওয়ার পরেই মহকুমা শাসক অয়ন নাথ বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর ও পৌরসভাকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে উঠে আসে, শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়া মৌজার ৬৬১/৯০১ নম্বর দাগে অবস্থিত জমিটি সরকারি। সেখানে বেআইনিভাবে রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। এরপর প্রশাসন পুলিশ মোতায়েন করে নির্মীয়মাণ রাস্তা ও জমির উপর ‘সরকারি সম্পত্তি’ বোর্ড বসিয়ে দেয়।
জমি কারবারিদের দৌরাত্ম্য বোলপুর-শান্তিনিকেতনে নতুন নয়। আগেও আদিবাসীদের পাট্টা জমি দখল, কোপাই নদীর পাড় ঘিরে নির্মাণ, সেচ, পর্যটন ও বন বিভাগের জমি দখলের একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনার সঙ্গে এক জমি কারবারি রাজা ভট্টাচার্যের নাম জড়ালেও তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'আমি কিছুই জানি না, আমাকে কেউ কোনও নোটিশ করেনি। আমি এই বিষয়ে যুক্ত নই।'
প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে স্থানীয়রা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। তবে প্রশ্ন উঠছে, এমন বেআইনি জমি দখলের ছক রুখতে প্রশাসনের নজরদারি আরও বাড়বে কি না।