কয়েকদিন আগে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ৷ না রাজনীতির জন্য নয়, বরং ডিলিট সম্মানে ভূষিত হওয়ার বিষয়ে। ভগবান বুদ্ধের মতবাদের উপর রিসার্চের স্বীকৃতি হিসাবে ৭৩ বছরের লক্ষ্মণকে কর্ণাটকের টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ডিলিট সম্মানে সম্মানিত করা হয়। রাজনীতির বাইরে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত তিনি। তবে মাছ কি বেশিদিন জল ছাড়া থাকতে পারে? তাই ফের একবার রাজনীতির ময়দানে নামতে চাইছেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ। আর এই বিষয়ে তাঁর পছন্দের দলের নামও জানিয়েছেন একদা বঙ্গ রাজনীতির চর্চিত এই নেতা।
বাম আমলে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রভাবশালী নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। তবে বাম শাসন শেষ হওয়ার পর আর সে ভাবে তাঁকে সামনে আসতে দেখা যায়নি। সিপিএম ত্যাগের পর বেশ কয়েক বার দল পরিবর্তন করেও কোন দলে পাকাপাকি জায়গা করতে পারেনি একদা হলদিয়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। বিজেপি, কংগ্রেসের পর এবার তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন লক্ষ্মণ শেঠ । বিগত কয়েক বছর ধরে তৃণমূলে যোগদান করার সরাসরি ইচ্ছা প্রকাশ করলেও এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের তরফে গ্রিন সিগন্যাল মেলেনি। তাই এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকেই পাখির চোখ করতে চাইছেন একসময়ে হলদিয়ার বেতাজ বাদশা।
বুধবার লক্ষ্মণ শেঠ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস দলটা খুবই ভালো, রাজ্যের বাইরেও বিস্তার লাভ করুক, আমিও রাজনীতির মানুষ, তৃণমূলে যোগদান করতে চাই। বহুবার তৃণমূলে যোগদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও কোনো উত্তর মেলেনি। সামনে পঞ্চায়েত ও পৌর ভোট রয়েছে, রাজনীতির লোক তাই কিছু কাজ করতে চাই। সামনের ভোটে তৃণমূলের যদি জায়গা না মেলে, তাহলে আম আদমি দলে যাওয়ার চিন্তা করতে হবে। ” লক্ষ্মণের এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল অথবা আম আদমি পার্টির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।