২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় গিয়ে অপ্রস্তুতে পড়লেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। প্রায় ফাঁকা প্রেক্ষাগৃহে বক্তব্য রাখতে হল মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ককে। বারাসতের রবীন্দ্রভবনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল শিক্ষা সেলের তরফে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েন রথীন ঘোষ। মন্ত্রী দেখেন, প্রেক্ষাগৃহ করকম ফাঁকাই।
আক্ষেপের সুরে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'যেসব নেতারা সঙ্গে করে কর্মীদের নিয়ে এসেছেন তারা দু'ঘণ্টা বসতে পারলেন না? মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের দলনেত্রী হয়ে ২৬ দিন অনশন করেছিলেন।' তিনি আরও বলেন, 'যাঁরা এই প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁরা শুধুমাত্রই নিজেদের চেয়ার বাঁচাতে এসেছিলেন দলের উন্নতির জন্য নয়। ট্রান্সফার ছাড়াও আরও অন্যান্য বিষয়ের জন্য।' রথীন ঘোষ এও বলেন, 'রাজ্যে শিক্ষা মন্ত্রী যিনি এই সংগঠনের দায়িত্বে আছেন তিনি হয়তো আগামী দিনে ভাববেন তাঁর সংগঠনের যে পিলার তা মজবুত নয়।'
গত বুধবারের সেই ঘটনার একটি ভিডিও শুক্রবার সামনে এসেছে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করতে শুরু করেছে BJP। জানা গিয়েছে, বক্তব্যের আগেই শিক্ষকদের একটা বড় অংশ প্রেক্ষাগৃহ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে থাকেন। আর সেই শিক্ষকদের আটকাতেই বারাসত রবীন্দ্রভবনের বাইরের গেটে চেন দিয়ে তালা লাগিয়ে দেন শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য BJP-র শিক্ষক সেলের কো-কনভেনার দীপঙ্কর সরকার বলেন, 'এই সরকার শিক্ষকদের ডিএ দেয়নি। সেই ক্ষোভের কারণেই তাঁরা প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছেন। এঁরা চাইছেন না তৃণমূলের সঙ্গে থাকতে। তাই এঁদেরকে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।'
একই সুরে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন CPIM নেতা আহমেদ আলি খানও। বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, 'তৃণমূলের অন্তর্জলী যাত্রা শুরু হয়েছে এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই শিক্ষকরা বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদেরকে তালা দিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা হয়েছে।'
যদিও এ বিষয় নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শিক্ষা সেলের উদ্যোক্তা দেবব্রত সরকার জানান, অতিরিক্ত জন সমাগম হওয়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে তাঁদের সদস্যরা গেটে তালা দিয়েছেন।
রিপোর্টার: দীপক দেবনাথ