বাজ পড়ে রাজ্য়ে মৃত্যু হল ২৬ জনের। সোমবার বেশ কয়েকটি জেলায় তুমুল ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। এদিন কলকাতায়ও ভাল বৃষ্টি হয়েছে। বাজে পড়ে মৃত ব্যক্তিদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। সাম্প্রতিক অতীতে বাজ পড়ে এতজনের মৃত্যু এমন নজির নেই।
হুগলি জেলায় ১১ জনের মৃত্যু
খানাকুলে নিহতদের নাম শিশির অধিকারী, হেমন্ত গুছাইত, মালবিকা গুছাইত এবং কানাই লাহিড়ী। পোলবার দাদপুরে বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন হারুন রশিদ নামে এক ব্যক্তি। নবগ্রামে কিরণ রায় নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
হুগলির হরিপাল ব্লকে দিলীপ ঘোষ নামে এক ব্যক্তি বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন। সিঙ্গুরের নসিবপুরে সুস্মিতা কোলে মারা গিয়েছেন একই কারণে। তারকেশ্বরের রশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জিত সামন্ত মারা গিয়েছেন বাজের আঘাতে। গোঘাটের নরসিংহবাটি এলাকায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম আনন্দ রায়
মুর্শিদাবাদে বাজ পড়ে ৯ জনের মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে রঘুনাথগঞ্জ থানার এলাকার মির্জাপুর নওদায় বাজ পড়ে ৬ জনের জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ছয়। আহতরা জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম জালালউদ্দিন শেখ (৩২), সাদ্দাম শেখ (৩০), সুনীল দাস (২৮), দুর্যোধন দাস (৩৫) মাজাহারুল শেখ (১৬) এবং সূর্য কর্মকার (২৩)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বজ্রপাতের ঘটনায় মৃত আহতরা জমিতে কাজ করছিল। সেই সময় হঠাৎ বজ্রপাত-সহ বৃষ্টি শুরু হয়।
সে সময় মাঠে বাজ পড়লে তাঁরা আহত হয়। তাঁদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক ছয় জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বহরমপুরে
মুর্শিদাবাদেরর বহরমপুরের হঠাৎ কলোনিতে বাজ পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায় বজ্রপাতে দু'জনের মৃত্য়ু হয়েছে। এদিন বিকেলে হঠাৎ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়। তখন দু'জনের মৃত্যু হয় বজ্রস্পৃষ্ট হয়ে৷ এদের মধ্যে একজন পুরুষ ও অন্যজন মহিলা
নদিয়া
বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল এক যুবকের। এদিন বিকেলে নদিয়া নবদ্বীপের ঘটনা। তাঁর নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উড়ল দোকানের চাল
মাত্র কয়েক কয়েক মিনিটের দমকা হাওয়াই উড়িয়ে নিয়ে গেল টিনের চাল ।ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার সুত্রাগড়ের মালঞ্চ বাজারে। স্থানীয় মানুষ বলেছেন, অল্প বৃষ্টির সঙ্গে একটু দমকা হাওয়াতে সাইকেল সারোনো দোকানের চাল উড়িয়ে বাজারে চালের ওপর ফেলে দেয়। তবে কেউ আহত হননি। সেলিম শেখের মা দোকানের এই অবস্থা দেখে বলেন, আমার সন্তান বেঁচে আছে এটাই বড় কথা।
এর আগে
গত কয়েকদিন বাজ পড়ে রাজ্য়ের বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ১ জুন খালে মাছ ধরতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হলে ৩ জনের। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাত-আট জন ব্যক্তি। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার ভীমপুরে।
তাঁদের নামে হাফিজুল মণ্ডল, যাদব ঘোষ ও সুপ্রিয় ঘোষ। মাছ ধরার আনন্দ যে এমন বিপদ ডেকে আনতে পারে, ভাবেনি কেউই। অনেকে আক্ষেপ করছেন, মাছ ধরতে না গেলেই হত।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ নদিয়ার ভীমপুর থানা এলাকার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ঘটনা। সেখানকার ঘোষপাড়া কুলতলা এলাকার রয়েছে টেংরী খালে। এদিন বিকেলে ওই এলাকার ওই খালে মাছ ধরতে নামে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।