এবার পাল্টা চড়ের দাওয়া বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee)। দলের এক ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হয়ে হুগলির বিজেপি সাংসদ বলেন, কথা শুনতে না চাইলে ঘরের মধ্যে বেঁধে রেখে অভিযোগ শোনান। চড় মারলে আপনারাও ছাড়বেন না, ধরে চার-পাঁচটা আপনারাও দিন'। তিনি আরও বললেন, 'চড় দেওয়ার দরকার আছে, টাকা লুট করবে আবার চড়ও মারবে। আমি সামনে থাকলে তো চারটে থাপ্পড় মারতাম', কেউ ভয় পাবেন না, সবাই এগিয়ে চলুন'।
প্রসঙ্গত, 'দিদির সুরক্ষকবচ' (Didir Suraksha Kavach) কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হাতেই চড় খেতে হয়েছে স্থানীয় যুবককে। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের ১ ব্লকের ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের শাড়িপোনা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, শনিবার শাড়িপোনা গ্রামে গিয়েছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। রাধামাধবের মন্দিরে পুজো সেরে মন্দিরের চাতালেই বসে পড়েন। গ্রামবাসীদের অভাব-অভিযোগ সেখানে বসেই শোনেন। সেই সময় মন্ত্রীর কাছে নিকাশি, রাস্তাঘাট ও পানীয় জল নিয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। একইসঙ্গে মন্ত্রীর সামনেই রাস্তা খারাপ থাকার অভিযোগও এক যুবক। যার জেরে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে ওই যুবকের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। মন্ত্রীর সামনেই তাঁর মুখ চেপে ধরে ধাক্কা দেন তৃণমূল কর্মীরা। এমনকি সপাটে চড়ও মারা হয় তাঁকে।
ঘটনায় রীতিমতো চমকে যান ওই যুবক। তিনি বলেন, 'মন্দির লাগোয়া একটি রাস্তার হাল ফেরানো দরকার। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে সেটাই বলতে গিয়েছিলাম। তখনই আমার উপর চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। কেন গায়ে হাত দিল বুঝতে পারলাম না।' এই ঘটনার পর আসরে নামেন স্বয়ং মন্ত্রী রথীন ঘোষ। দুঃখপ্রকাশ করে ওই আক্রান্তকে জড়িয়েও ধরেন তিনি। একইসঙ্গে এই ঘটনা তাঁর সামনে ঘটেনি বলেও দাবি রথীন ঘোষের। আর এই ঘটনার পরের লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল এহেন বক্তব্য, যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন - ৩০ বছর পর শনির 'মহাগোচর', এই সপ্তাহেই ভাগ্যোদয় ৪ রাশির