বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এর প্রভাবে সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। উত্তাল হয়ে উঠবে সমুদ্রও। মৎস্যজীবীদের জন্য ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবারের মধ্যে মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে বুধবার থেকে সমুদ্র আরও বেশি উত্তাল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী তিন দিন মৎস্যজীবীদের পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার উপকূলীয় এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৮ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বিশেষ করে ২৯ ও ৩০ তারিখে ওড়িশা ও বাংলার উপকূল ও সংলগ্ন সমুদ্র উত্তাল থাকবে। এই সময় সমুদ্রে যাওয়া একেবারেই নিষেধ।
এদিকে, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রবিবার থেকেই বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি শুরু হতে পারে। পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
সোমবার সতর্কতা জারি হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। মঙ্গলবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়।
বুধবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান এবং বীরভূমে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বুধবার থেকে কোচবিহার, মালদহ, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি রবিবার ও সোমবার উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
কেরলে স্বাভাবিক সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে। উত্তরবঙ্গেও বর্ষা প্রবেশের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রাজ্যজুড়ে বর্ষা কবে ঢুকবে, তা নির্ভর করছে মঙ্গলবারের সম্ভাব্য নিম্নচাপের উপর।
রবিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ০.৩ ডিগ্রি বেশি। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৮ ডিগ্রি কম।