Low Pressure Bay of Bengal: আগামী ২৩ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের (IMD) ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২১ নভেম্বর দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত গঠন হবে। এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। নিম্নচাপ পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৩ তারিখের দিকে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরবর্তী দুই দিনে এই নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি বড় নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর, পক প্রণালী এবং মান্নার উপসাগরের বিভিন্ন স্থানে ঘন এবং মাঝারি মেঘের সঙ্গে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। পূর্ব-কেন্দ্রীয় বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সমুদ্রের তাপমাত্রা ও ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা
বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির জন্য আদর্শ পরিস্থিতি বলা যেতে পারে। আন্দামান সাগর থেকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলে সাইক্লোনিক হিট পটেনশিয়াল ১০০ কিলোজুল/সেন্টিমিটার² এর ওপরে রয়েছে। সহজ ভাষায়, এর ফলে ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হতে পারে।
শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে, ২১ নভেম্বর থেকে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে 'ইকুয়েটোরিয়াল রসবি ওয়েভে'র আবির্ভাব হতে পারে। এর প্রভাব কী হবে? মনে করা হচ্ছে, এর ফলে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৫ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী পশ্চিমী বায়ুর প্রবাহ এবং উত্তর দিকে পূর্বমুখী বায়ুপ্রবাহ থাকতে পারে।
মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা
আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে এই নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরের এই অঞ্চলে সমুদ্রে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলিতে মাছ ধরা নৌকা-ট্রলারগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে। সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।