মাধ্যমিকের খাতা চেক করার সময়েও তাঁরা শিক্ষক ছিলেন। তবে ফল বের হওয়ার সময়ে তাঁদের নামের পাশে 'বাতিলে'র তকমা। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি হারান রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষক। এঁদের মধ্যে অনেকেই ২০২৪ সালের মাধ্যমিকের(Madhyamik 2024) খাতা দেখেছিলেন। দিয়েছিলেন নম্বর। কিন্তু ফল বের হওয়ার আগেই তাঁদের চাকরি চলে গেল।
এদিন মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার সময়েও পর্ষদ সভাপতির মুখে উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, 'সম্প্রতি চাকরি বাতিল হওয়া ২৬,০০০ শিক্ষকের মধ্যে কতজন মাধ্যমিকের খাতা দেখেছিলেন?' এর উত্তরে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, 'আমার এক্ষেত্রে যেটা জানানো দরকার, আমার মনে হয় আপনারা জানেন, তবুও আরও একবার বলছি বিশেষ পরিস্থিতি যেহেতু, ডিভিশন বেঞ্চ মনে করেছে যে ২৬ হাজার টিচার যে রিক্রুট হয়েছিল, তাঁরা বাদ যাবে। আমি মনে করি যে তাঁরা সার্ভিস প্রোভাইড করেছে গত ৫ বছর। আমি এখানে ২০২২ সালে এসেছি। আমি যে সিস্টেম ইনহেরিট করেছি সেই সিস্টেমে আমাদের পরীক্ষক, হেড এক্সামিনার এই লিস্টগুলো যখন তৈরি হয়, আমরা স্কুলের কাছ থেকে চাই। স্কুল সেগুলো আমাদের দেয়। আমাদের ন্যূনতম যেটা মানদণ্ড থাকে, যে কনফার্মড টিচার, মানে অন্তত ২ বছর চাকরি করেছেন, তাঁরা পরীক্ষক হতে পারেন। যারা ১৫ বছর চাকরি করেছেন তাঁরা হেড এক্সামিনার হতে পারেন।'
ফলে বছর দেখে পরীক্ষক নিয়োগ হয় না। বিষয়টি ব্যাখা করে তিনি বলেন, 'এক্ষেত্রে আমরা কোনও নির্দিষ্ট ইয়ার অফ রিক্রুটমেন্ট বা ইত্যাদি দেখে কোনও পরীক্ষক করি না, বা কোনও টিচারের সেভাবে সার্ভিস কন্ডিশনে লেখাও থাকে না, আমরা জানিও না। তো যখন আমরা নিয়েছি, তখন সেগুলো স্কুলের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। আমরা কিন্তু আপডেট করেছি আমাদের এক্সামিনার লিস্ট, হেড এক্সামিনার লিস্ট। কারণ এরকম অনেক সময়ে হয় যে অনেক টিচার হয় তো খাতা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না, চাইছেন। সেই জন্য আমরা আপডেটও করেছি। তো সেই প্রেক্ষিতে যেটা বলতে পারি, যে এগুলো বেস্ট আপনাদের উত্তর দিতে পারে আপনাদের HOI-রা(হেড অফ ইনস্টিটিউশন), কারণ তাঁরাই আমাদের প্রোভাইড করেছেন। তাই আমি নির্দিষ্ট বলতে পারব না, আপনার প্রশ্নের উত্তরে কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা বা তথ্য আমার কাছে নেই।'