Mahalaya Doctors' Protest: মহালয়ার দিন, ২ অক্টোবর ধর্মতলায় মহামিছিল ও মহাসমাবেশের ডাক দিলেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন 'ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট' এসএসকেএমের অডিটোরিয়ামে সমাবেশ করেন। 'আগুন এখনও নেভেনি'— বার্তা দিলেন তাঁরা।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি
জুনিয়র ডাক্তাররা এদিন জানান, নিজেদের দাবিতে তাঁরা অনড় থাকছেন। তাঁরা জানালেন, পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই জারি থাকবে। এসএসকেএম-এর মঞ্চ থেকে তাঁরা বলেন, 'আন্দোলন নিয়ে নানা অপপ্রচার চলছে। অনেকে বলছেন নতুন-নতুন দাবি তোলা হচ্ছে। কিন্তু সেটা সঠিক নয়।' এর পাশাপাশি এদিন 'থ্রেট কালচার' নিয়েও সুর চড়ান তাঁরা। চিকিৎসক তীর্থঙ্কর গুহঠাকুরতা বলেন, 'হাসপাতালগুলিতে হুমকি সংস্কৃতি একটি খুবই গুরুতর বিষয়।'
পুজোর আগে নতুন ঘোষণা
২ অক্টোবর: এদিন দু'টি নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দেবাশিস জানান, আগামী ২ অক্টোবর মহালয়া পড়েছে। আর সেই দিনই মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। মিছিলের শেষে ধর্মতলায় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মহালয়ার দিন দুপুর ১টা থেকে মিছিল শুরু হবে।
মহালয়া থেকেই সাধারণত কলকাতায় দুর্গাপুজো শুরু হয়ে যায়। তবে এবারের পুজোয় 'উৎসবে'র মানসিকতা নেই বলে জানান জুনিয়র ডাক্তাররা। চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, 'সামনে পুজো আসছে। আমরা কাউকে উৎসবে বিরত থাকতে বলতে পারি না। কিন্তু আমরা উৎসবের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত নই।'
২৭ সেপ্টেম্বর: অন্যদিকে মহালয়ার ঠিক আগে, ২৭ সেপ্টেম্বরও প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেদিনের কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, 'পাড়ায় থাকছি একসাথে, উৎসবে নয় প্রতিবাদে'। ২৭ সেপ্টেম্বর রাজ্য়জুড়ে পাড়ায় পাড়ায় মানুষকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
তবে এই সবকিছুর মধ্যে রোগীদের সুযোগ সুবিধা নিয়েও সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চিকিৎসক অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, 'আন্দোলনের একটি যৌথমঞ্চ হওয়া দরকার। শুধু চিকিৎসক নন, সাধারণ মানুষেরও সেখানে উপস্থিতি প্রয়োজন। আন্দোলনকে দীর্ঘতর করতে যৌথমঞ্চ প্রয়োজন। বিচারের পাশাপাশি চিকিৎসক এবং রোগীদের মানবাধিকারের বিষয়গুলি দেখা প্রয়োজন। রোগীদের কথাও ভাবতে হবে।'